ঝিনাইদ‌হের শৈলকুপায় একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটার উপস্থিতি

পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।  শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, এই ৬০ পৌরসভার মধ্যে ২৮টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুতে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ইসির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি, পুলিশ, আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল টিম টহল দেবে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকছে।

ইসির তথ্যমতে, ৬০টি পৌরসভায় তিন পদে ৩ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে ২২১, সংরক্ষিত নারী কমিশনার পদে ৭৪৫ জন এবং সাধারণ কমিশনার পদে ২ হাজার ৩২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ধাপে ১ হাজার ৮০টি ভোটকেন্দ্রের ৬ হাজার ৫০৮ ভোটকেন্দ্রে ২২ লাখ ৪০ হাজার ২২৬ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৮ হাজার ৪৩১ জন এবং মহিলা ভোটার ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩১ জন।

যে ৬০ পৌরসভায় ভোট

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ (ব্যালট), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর (ইভিএম), বেলকুচি (ব্যালট), উল্লাপাড়া (ব্যালট), সদর (ব্যালট) ও রায়গঞ্জ (ব্যালট), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ (ব্যালট), কুষ্টিয়া সদর (ব্যালট), কুমারখালী (ইভিএম), ভেড়ামারা (ব্যালট) ও মিরপুর (ব্যালট), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া (ব্যালট) ও কমলগঞ্জ (ব্যালট), নারায়ণগঞ্জের তারাব (ইভিএম), শরীয়তপুর সদর (ইভিএম), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী (ব্যালট), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ (ব্যালট) ও সদর (ব্যালট), দিনাজপুর সদর (ব্যালট), বিরামপুর (ব্যালট) ও বীরগঞ্জ (ইভিএম), নওগাঁর নজিপুর (ইভিএম), পাবনার ভাঙ্গুড়া (ব্যালট), ফরিদপুর (ইভিএম), সাঁথিয়া (ব্যালট), ঈশ্বরদী (ব্যালট) ও সুজানগর (ব্যালট), রাজশাহীর আড়ানী (ইভিএম), ভবানীগঞ্জ (ব্যালট) ও কাকনহাট (ইভিএম), সুনামগঞ্জ সদর (ব্যালট), ছাতক (ব্যালট) ও জগন্নাথপুর (ইভিএম), হবিগঞ্জের মাধবপুর (ব্যালট) ও নবীগঞ্জ (ব্যালট), ফরিদপুরের বোয়ালমারী (ব্যালট), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া (ইভিএম) ও মুক্তাগাছা (ব্যালট), মাগুরা সদর (ইভিএম), ঢাকার সাভার (ইভিএম), নাটোরের নলডাঙ্গা (ইভিএম), গুরুদাসপুর (ব্যালট) ও গোপালপুর (ব্যালট), বগুড়ার শেরপুর (ব্যালট), সারিয়াকান্দি (ইভিএম) ও সান্তাহার (ইভিএম), পিরোজপুর সদর (ইভিএম), নেত্রকোণার কেন্দুয়া (ইভিএম), মেহেরপুরের গাংনী (ইভিএম), ঝিনাইদহের শৈলকুপা (ইভিএম), পার্বত্য খাগড়াছড়ি সদর (ইভিএম), বান্দরবান জেলার লামা (ব্যালট), টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী (ইভিএম), কুমিল্লার চান্দিনা (ইভিএম), ফেনীর দাগনভূঞা (ইভিএম), কিশোরগঞ্জ সদর (ব্যালট) ও কুলিয়ারচর (ইভিএম), নরসিংদীর মনোহরদী (ইভিএম), নোয়াখালীর বসুরহাট (ইভিএম) এবং বাগেরহাটের মোংলা (ইভিএম) পৌরসভা।

সারদেশে মোট পৌরসভা রয়েছে ৩২৯টি। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পৌরসভার ভোট করতে হয়।

এসআর/এসআরএস