মাঘ মাস শুরু হয়েছে। চলছে শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু। এবার শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে যোগ হচ্ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। সবমিলিয়ে চরম শীতের মুখে দেশের অধিকাংশ এলাকা।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই একদিন শীতের পরিমাণ খুব বেশি বাড়বে না। তবে ১৯ বা ২০ তারিখের দিকে হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পর শীতের দাপট আবার বেশ বাড়তে পারে। এ সময়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি জানান, শনিবার দেশের অধিকাংশ স্থানে সূর্যের দেখা মিলবে দেরিতে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় মোড়ানো থাকবে। দিনের মধ্যভাগে কিছুটা রোদের দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

আবহাওয়া অফিসের ভাষ্যমতে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের কারণে শীতের দাপটটা বেশ ভালই আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে, ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ হিসাবে গতকালের চেয়ে আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।

টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ রংপুর বিভাগের ‍ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আগামী আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থার তথ্যে বলা হচ্ছে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর দুইদিনের আবহাওয়া প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ও তাপমাত্রার তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, সকালের দিকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের কুয়াশায় মোড়ানো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কি.মি.। আর বাতাসের আদ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ।

সিনপটিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশপাশ এলাকায় রয়েছে। এছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

একে/ওএফ