বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকৌশলী শহিদুল দম্পতির অঢেল সম্পদের খোঁজ
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরপরই ওই দম্পতির নামে অঢেল সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় সত্যতা যাচাই করতে হিসাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে শহিদুল দম্পতির বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে তাদের নামে ১০ জানুয়ারি পৃথক নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদক যখনই কারও বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পায়, তখন সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে দুদক আইনের ২৬(১) ক্ষমতা বলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সই করা পৃথক নোটিশ শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার ঢাকার মোহাম্মদপুরের আদাবরের বায়তুল আমান হাউজিংয়ের ২ নম্বর রোডের ৩১৬/১ নম্বর বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নোটিশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আক্তার মনি তাদের অভিযোগটি অনুসন্ধান করেছেন। অনুসন্ধানে তাদের নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট ও ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।
দুদক সূত্র আরও জানা যায়, নোটিশে তার নিজের এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী (যন্ত্রায়ন) শহিদুল ইসলাম বর্তমানে উপপরিচালক (ইকো) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরএম/এসএম