দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২১ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৮৮৩ জনে।

একই সময়ে দেশে নতুন করে আরও ৫৭৮ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৬৩ জনে। 

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৩৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চার লাখ ৭১ হাজার ৭৫৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৯৯টি ল্যাবে ১২ হাজার ২১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭টি নমুনা।

এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৭৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ লাখ ৮ হাজার ৮৭৫টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে সাত লাখ ৩৫হাজার ১৩২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২১ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, বাকি আট জন নারী। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন,  ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং বাকি একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

যারা মারা গেছেন তাদের ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ছয়জন চট্টগ্রাম বিভাগের। বাকি দুইজন রংপুর বিভাগের। 

করোনাভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া সাত হাজার ৮৮৩ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৭৬ জন পুরুষ। নারীর সংখ্যা এক হাজার ৯০৭ জন। 

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো তিন জনের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ৩০ জুন।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৩ রোগীর মৃত্যু হয়। যা ছিল গত ১২ নভেম্বরের পর একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর আগে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর দেশে করোনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়।

ওই সময়ের নতুন করে আরও ৭৬২ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। যার মাধ্যমে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয় পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৫ জনে। 

জেডএস