চাল আমদানির অনুমতি পেল আরও ৬৩ প্রতিষ্ঠান
আরও ৬৩ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিক ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টন পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছে, তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না বলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক দফায় এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিলো সরকার।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি ১০ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ৪ জানুয়ারি আরও ১৯ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে গত ৬ জানুয়ারি ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন এবং ১০ জানুয়ারি ৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া গত ১৩ জানুয়ারি ৪৩ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
জানা গেছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চাল আমদানি অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়া সরকারিভাবে চার লাখ মেট্রিক টন, জিটুজি পদ্ধতিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেসরকারিভাবে কত পরিমাণ চাল আমদানি করা হবে, তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে যতদিন না বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে ততদিন চাল আমদানি চলবে।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের পাশাপাশি কৃষকদের বিষয়ও আমাদের মাথায় রয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কখন চাল আমদানি বন্ধ হবে।
এসএইচআর/জেডএস