টিভিতে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
টেলিভিশনে প্রতারণামূলক কোনো বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন বিভিন্ন প্রকার রোগের গ্যারান্টিসহ চিকিত্সা ও এ সংক্রান্ত প্রতারণামূলক কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করে না। বাংলাদেশ টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ও তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময় জারিকরা নির্দেশনা অনুসরণ করিয়া থাকে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার রোগের গ্যারান্টিসহ চিকিৎসা ও এ সংক্রান্ত প্রতারণামূলক কোনো বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ নাই।
সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন তার প্রশ্নে জানতে চান, দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন হারবাল, ইউনানী ও হোমিও চিকিত্সায় এমন বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে যেন এমন কোনো রোগ নাই যা তাদের ঔষধে ভালো হয় না। প্রতারণামূলক এসব বিজ্ঞাপনের প্রচার বন্ধ করাসহ বিজ্ঞাপন দাতাদের আইনে সোপর্দ করার কার্যকরী কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না? এবং উত্তর না- সূচক হলে, তার কারণ কী?
বিজ্ঞাপন
এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ ও ঔষধ জাতীয় পণ্য, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদির বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়পত্র বিজ্ঞাপনদাতার কাছে আছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। অন্য টেলিভিশন চ্যানেলে এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বছরের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এ দিন অধিবেশনের শুরুতেই প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপন করা হয়। পরে সরকার দলীয় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করেন। সংসদ সদস্য উপধ্যক্ষ আবদুস শহীদ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন।
এর আগে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় দিকে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত হন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে তিনি ভাষণ দেন।
শীতকালীন অধিবেশন নামে পরিচিত বছরের প্রথম এ অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এবারের অধিবেশন যতদূর সম্ভব সংক্ষিপ্ত হবে। অধিবেশন ১২ থেকে ১৪ কার্যদিবস চলতে পারে।
এইউএ/এসএম