চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার ফিরোজশাহ এলাকায় দোকানে চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশ জব্দ করা হয়েছে। 

শনিবার ও রোববার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
  
গ্রেফতাররা হলেন- মোহাম্মদ আলমগীর (২৭), মো. মনজুর আলম (২৫), মোহাম্মদ লিটন (২৬), মো. শওকত (২৬), মো. আব্দুস শুকুর মানিক (২৬) ও মো. ছগির সাগর (৫২)। 

আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ পেশাদার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতার মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা রয়েছে। এছাড়া মো. মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে দুটি , মোহাম্মদ লিটনের বিরুদ্ধে একটি, মো. আব্দুস শুকুর মানিকের বিরুদ্ধে চারটি ও মো. শওকতের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দুটি মামলা রয়েছে।

তিনি বলেন, আসামিরা চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও মোবাইল দোকানে চুরি করে আসছিল। এজন্য আগে থেকেই  লক্ষ্য স্থির করে। এরপর আসামিদের মধ্য থেকে যেকোনো একজন লক্ষ্য স্থির হওয়া দোকান রেকি করে। দোকানদার দোকানের কাজে ব্যস্ত থাকার সময় আসামিদের মধ্য থেকে দুজন দোকানে আসে। দোকানদারকে কোনো একটি পণ্য কেনার কথা বলে ব্যস্ত রাখে। সুযোগ বুঝে চোর চক্রের অন্য সদস্যরা দোকানে এসে ভিড় জমায়। এর একপর্যায়ে চক্রের একজন দোকানের ক্যাশে থাকা টাকা, মোবাইল ইত্যাদি সু-কৌশলে চুরি করে সিএনজিতে করে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আকবরশাহ থানার পশ্চিম ফিরোজশাহ এলাকার একরামুল করিম নামের এক ব্যক্তি নিজের দোকান খোলেন। খোলার পরপরই চারজন অজ্ঞাতপরিচয় লোক দোকানে আসে। তার মধ্যে দুজন খেলনা কেনার অজুহাত দেখিয়ে দোকানদারকে ব্যস্ত রাখে। অপর একজন দোকানদারের রাখা ছোট কাঁধ ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। ব্যাগের ভেতরে নগদ দুই লাখ ৪০  হাজার টাকা, একটি চেক বই ও বাসার কিছু কাগজপত্র ছিল। চুরির ঘটনায় একরামুল আকবরশাহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  এরপর গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 
 
ওসি আরও বলেন, গ্রেফতার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যে ১০ হাজার ৭০০  টাকা, চুরির টাকা দিয়ে কেনা দুটি এলইডি টিভি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট সিএনজি এবং দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিরা বিভিন্ন জেলায় চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে বলেও জানিয়েছেন ওসি। 

কেএম/জেডএস