খালে বর্জ্য নিক্ষেপকারীদের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খালে বর্জ্য নিক্ষেপকারীদের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের সময় তিনি একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, খালটির দুই পাড়ের বেশ কয়েকটি ভবন পরিদর্শনের সময় সেগুলোর কোনোটিতেই সেপটিক ট্যাংক কিংবা সোক ওয়েল (সেপটিক ট্যাংকের পানি পরিশোধনে ব্যবহৃত হয়) খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেপটিক ট্যাংকবিহীন ভবনগুলোতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, খাল কোনো ডাস্টবিন নয়, ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য নিক্ষেপের স্থানও নয়, এটি জলাধার। তাই কোনো সচেতন নাগরিক খাল কিংবা অন্য কোনো জলাশয়ে বর্জ্য নিক্ষেপ করতে পারে না।
বিজ্ঞাপন
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে। ডেভলপার কোম্পানিগুলোকেও ভবনের উন্নয়ন করার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই ডিএনসিসি এলাকায় খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে খাল দখল করে যেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সেগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে, বিনা নোটিশেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।
এরপর ডিএনসিসির মেয়রের উপস্থিতিতে মোহাম্মদপুর এলাকায় মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের ৩ নম্বর রোডে রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত নকশা বহির্ভূত ভবনের অংশবিশেষ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর এস. এম. শরীফ উল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/জেডএস