‘সাধারণ ছুটি না দেওয়া ভোটার উপস্থিতি কমানোর ষড়যন্ত্র’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ভোটের দিন চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে এবং কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বেশি না হতে পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়নি।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর উত্তর পতেঙ্গা, দেওয়ান বাজার এবং বক্সিরহাট ওয়ার্ডে ধানের শীষে ভোট চেয়ে গণসংযোগের সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রাম শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব নগরী, এখানে হাজার হাজার কলকারখানায় লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। ভোটের দিন ভোটাররা তাদের কর্মস্থলে না গিয়ে ভোট কেন্দ্রে কীভাবে যাবে? এতে করে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে। এ সুযোগে সরকারি দল তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নগরীতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালাবে।
তিনি বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্ট হাউজগুলোতে চট্টগ্রামের আশপাশের এলাকার বহিরাগতরা অবস্থান করছে। এমনিতে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেকোনো নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা নেই। ভোটাররা কেন্দ্রবিমুখ হয়ে পড়ছে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজন। সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করে সরকার ভোটারদের কেন্দ্র বিমুখ করার ষড়যন্ত্র করছে।
বিজ্ঞাপন
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, সদস্য মো. আলী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, গাজী সিরাজ উল্লাহ প্রমুখ।
সব প্রার্থী যেন সমান অধিকার পায়
সব প্রার্থী যেন সমান অধিকার পায় সেদিকে চট্টগ্রাম প্রশাসনকে নজর দিতে বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট সংশ্লিষ্ট কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তাদের সব প্রার্থীর প্রতি সমান নজর রাখতে হবে। যাতে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠে।
জেডএস