ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য আওয়ামী লীগ, জনগণ ও প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দুইটি বছর কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদুল হক বলেন, আগামী দুই বছর পর জাতীর নির্বাচন। এর আগে কিন্তু বিশৃঙ্খলা করেনি পরাজিত অপশক্তি। যখনই নির্বাচন এগিয়ে আসে, তখনই তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটানো শুরু করে।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, যারা অপশক্তি, তারা চায় না এ দেশে এগিয়ে যাক। বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক এটা তার চায় না। সুখ, শান্তিকে বিসর্জন দেওয়ার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে এখন। যেহেতু আগামী দুই বছর পর নির্বাচন। এ কারণেই তাদের আকাঙ্ক্ষা একটি, যে এই দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা তাকে কীভাবে বাধাগ্রস্ত করা যায়।পরবর্তী আমাদের জাতীয় নির্বাচনে যেন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে না পারে। এটাই হচ্ছে মুখ্য উদ্দেশ্য। কোনো ধর্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এসব ঘটনার যারা ইন্ধন দাতা, যারা এসব অপকর্ম করেছে যারা আজকে গ্রেফতার হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। 

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা আমাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেছে যে এখন প্রস্তুত হওয়ার সময়।প্রত্যেককে বুঝতে হবে দেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনো অবস্থায়ই ব্যাহত না হয়। সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করতে পারলে অপশক্তিকে প্রতিহত করা কোনো বিষয় নয়।

ফরিদুল হক খান বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। সে একজন হেরোইন আসক্ত খারাপ মানুষ। এই হেরোইনখোরের ওখানে যাওয়ার কী দরকার পড়েছিল? সে পবিত্র কোরআন শরিফও বোঝে না, অন্য ধর্মের কিছু বোঝে না। তাকে কেউ না কেউ উসকে দিয়ে এ কোরআন শরিফ তার হাতে তুলে দিয়ে বলেছে ওই জায়গায় রেখে আস। কোনো মুসলমান এটি করতে পারে না, করেনি, হিন্দু ধর্মের মানুষ এটি করতে পারে না, করেনি। যারা করেছে তারা সেই পরাজিত শক্তির একটি গ্রুপ। যারা বিভিন্ন সময় আমাদের জাতির স্বার্থ নষ্ট করার জন্য এই অপকর্ম করে।

কেএম/এসকেডি