গর্ভবতী তরুণীকে হাসপাতালে পাঠাল ৯৯৯

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক গর্ভবতী অসুস্থ তরুণীর ফোন পেয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল ভর্তি করিয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, গত রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটায় বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক অসুস্থ তরুণী ফোন করে জানান, তিনি গর্ভবতী এবং গুরুতর অসুস্থ। তার প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই। তরুণীর বাবা-মা বেঁচে নেই, তিনি এক দূর সম্পর্কের খালার বাসায় থাকতেন।

তিনি বলেন, এর আগে গত অক্টোবর মাসে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। ফলে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। সে সময়ও তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেছিলেন। পরে ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষণকারীকে আটক করেছিলো। এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় তিনি একটি মামলা রুজু করেছিলেন। তবে অপরাধী জেল খেটে কিছুদিন আগে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। অপরাধীর ভয়ে দূর সম্পর্কের আত্মীয় স্বজন কেউই তাকে সাহায্য করতে রাজি হচ্ছে না। তরুণী ৯৯৯ ফোন করে জীবন বাঁচানোর জন্য এবং তাকে বরিশাল মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, আত্মীয় পরিজনবিহীন হওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা তাকে বরিশাল নিয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করছিলো। পরবর্তীতে ৯৯৯ মেয়েটির কাছ থেকে তার এক আত্মীয়ের ফোন নাম্বার নিয়ে তাকে ফোন করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেতে রাজি করায়। একই সঙ্গে এক বেসরকারিও অ্যাম্বুলেন্স প্রোভাইডারকে বরিশাল নিয়ে যেতে রাজি করায়।

অবশেষে ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তরুণীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক বলেন, সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ৯৯৯ থেকে ফোন করে তরুণীর খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। ফোনে তরুণী ৯৯৯ কে জানায়, তার শরীর এখনো বেশ খারাপ, তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে আশংকামুক্ত।

এমএসি/এমএইচএস