প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক /ছবি- সংগৃহীত

দেশের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রায় ১০ মাস পর মন্ত্রিসভার সরাসরি বৈঠক হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পাঁচজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও ছয়জন সচিব উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ অধিবেশন থাকায় এই বৈঠক করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রিসভা ও রিপোর্ট অনুবিভাগ) মো. আব্দুল বারিক।

তিনি বলেন, প্রায় ১০ মাস পর সরাসরি মুখোমুখি মন্ত্রিসভা বৈঠক হলো সোমবার। করোনার পর লকডাউন তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সরাসরি বৈঠক হয়নি।

মন্ত্রিসভা সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের মধ্যে গত বছরের ৬ এপ্রিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বশেষ সরাসরি বৈঠক করেছিল মন্ত্রিসভা। এরপর বৈঠকগুলো হয়েছে ভার্চুয়াল, গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হতেন।

সোমবারের বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ মোট ছয়জন সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী ও সচিবরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বৈঠকে বসেছিলেন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

মন্ত্রিসভা হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। সাধারণত প্রতি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কিংবা সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৩ জুলাই প্রথমবার অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এনএম/ওএফ