চট্টগ্রামে মেডিকেলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেছেন, চট্টগ্রামে মেডিকেলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পরিবেশসম্মত উপায়ে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো প্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে উঠেনি।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে টাইগারপাস নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সংক্রমণজনিত বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি নগরবাসীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চসিক ও জাইকার অর্থায়নে বর্জ্য ইন্সেনেরেটর বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্সেনেরেটর ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সবার সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, নগরীর হালিশহর টিজিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পরিবেশবান্ধব ও ধোঁয়াবিহীন ইন্সেনেরেটর বসানো হবে। চসিক ও পরিবেশ অধিদফতরের মনিটরিং কমিটি নিয়মিত এর তদারকি করবে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে জাইকার টিম লিডার মাশাহিরো সাইতো বলেন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে জাইকা চসিকের সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক বিশ্বে থ্রি আর বা রি-সাইকেল, রি-ডিউস ও রি-ইউস এ তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ইন্সেনেরেটর স্থাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পাইলটিং প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রোগ্রাম সফল হলে সারাদেশে করপোরেশনগুলোতে এই কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করার পরিকল্পনা আছে।
জাইকার ডেপুটি টিম লিডার প্রকৌশলী মো. গোলাম সারোয়ারের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন জাইকার এসডব্লিউএম প্রজেক্টের টিম লিডার মাসহিরো সাইতো, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, স্বাস্থ্য সহকারী পরিচালক ডা. কামরুল আজাদ, এডিসি ট্রাফিক (দক্ষিণ) মো. রইস উদ্দিন, সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী।
কেএম/জেডএস