আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমন সংগ্রহ সম্পন্ন করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদের তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এখন আবহাওয়া অনুকূলে। এখনই প্রকিউরমেন্ট জোরদার করতে হবে। কোনোভাবেই গা ছাড়া ভাব বরদাস্ত করা হবে না।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ অভিযান ২০২১-২২-এর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব জেলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকিউরমেন্ট শতভাগ অর্জিত হবে, প্রয়োজনে তাদের আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। যেসব জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

কৃষকের আমন ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার আমন ধান ও চালের যৌক্তিক দামও নির্ধারণ করেছে। এ সময় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদের আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অবৈধ মজুতদারির বিরুদ্ধে মনিটরিং জোরদার হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেড লাইসেন্স ছাড়া কেউ খাদ্যশস্য মজুত করতে পারবে না। ফুড গ্রেড লাইসেন্সধারীকে পাক্ষিক ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

মিল মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে ধান-চালের অভাব নেই। বিগত সময়ে ২৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন। এ সময় দেশে চালের অভাব হয়নি। এতে প্রমাণ হয় চালের যথেষ্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ চালের মজুত নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, মিল মালিকদের শুধু লাভের কথা চিন্তা করলেই হবে না, ভোক্তার দিকেও নজর রাখতে হবে। তিনি মিল মালিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ‌‘ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সহযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

উত্তরাঞ্চলকে শস্যভাণ্ডার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চল থেকে বেশি ধান সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহকালে কোনো কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন হয়রানির শিকার না হয় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে সভায় খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বক্তব্য দেন।

খাদ্য অধিদফতরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

এসএইচআর/ওএফ