আইএসপিএবি-কোয়ার ব্যর্থ হলে অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ডিএসসিসি
ঢাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে তারের জঞ্জালে আবদ্ধ। আমরা ঢাকাবাসীকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি দিতে চাই : তাপস
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইএসপিএবি ও কোয়াব ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় মাথার ওপরের ঝুলন্ত তার মাটির নিচে প্রতিস্থাপনে ব্যর্থ হলে করপোরেশন আবারও অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যরিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ (মঙ্গলবার) ধানমন্ডির আবাহনী মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা শহরের মূল সড়কগুলো থেকে ঝুলন্ত তার ভূগর্ভে প্রতিস্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডিএসসিসি এলাকা থেকে আইএসপি এবং কোয়েবের সাথে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোনো রকম ক্ষতিপূরণ ছাড়াই আমরা তাদের মাথার ওপরের ঝুলন্ত তার মাটির অভ্যন্তরে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছি। এই কার্যক্রমের জন্য তারা প্রথমত ধানমন্ডি এলাকাকে বেছে নিয়েছে, আজ আমি তার অগ্রগতি পরিদর্শন এসেছি। কিন্তু তারা যে পর্যায়ে আছে সেটা সন্তুষ্টির মধ্যে না। যদিওবা তারা বলছে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঢাকার মূল সড়কগুলো থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণ সম্পন্ন করতে পারবে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, আমরা তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই কার্যক্রমের সময়সীমা এক মাস বৃদ্ধি করে ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুমোদন করেছি। আশা করি তারা সে বিষয়টি অনুধাবন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। কারণ, ঢাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে তারের জঞ্জালে আবদ্ধ। আমরা ঢাকাবাসীকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি দিতে চাই। আর যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে না পারে তবে আমরা আবারও ঝুলন্ত তার অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবো।
চলমান ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র জানান, আমাদের কার্যক্রম কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক না। আমাদের কার্যক্রম ঢাকা শহরের সকল অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। আমরা আরও কিছু মার্কেটে অবৈধ দখল চিহ্নিত করেছি। সেসব অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই উচ্ছেদ কার্যক্রমে প্রকৃত ও বৈধ কোনো দোকান মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা তাদের পুনর্বাসন করবো।
ডিএসসিসি মেয়র দেশবাসীকে ৪৯তম বিজয় দিবসের শুভেচ্ছাও জানান।
ধানমন্ডিতে ঝুলন্ত তার ভূগর্ভে প্রতিস্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শনের পর মেয়র ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ চলমান উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শনে গেলে সেখানকার বৈধ দোকান ব্যবসায়ীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এ সময় উপস্থিত জনতা 'অবৈধ স্থাপনা, চলবে না চলবে না' স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন।
এর আগে তিনি সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেন সেখানকার বিদ্যমান নাগরিক সেবা পর্যালোচনা করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তারপরে তিনি গুলিস্তান শহীদ মতিউর রহমান পার্ক (মহানগর নাট্যমঞ্চ নামে খ্যাত) পরিদর্শন করে সেখানে একটি গাছ রোপণ করেন এবং হাঁস ও মাছ অবমুক্ত করেন, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের চলমান কার্যক্রম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ওয়ার্ডের জগন্নাথ সাহা পার্ক ও আমলিগোলা খেলার মাঠ পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাক্তার শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, পরিদর্শনকৃত ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এনএফ