সিটি করপোরেশনের মতামত নিয়ে ড্যাপের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রী ও ড্যাপের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম/ফাইল ছবি
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রী ও ড্যাপের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়েই ড্যাপ বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারসের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, রাজধানীর উন্নয়নে গৃহীত ড্যাপ বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সিটি করপোরেশনকে অন্তর্ভুক্ত করেই কাজ করা হবে। আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, নগরীকে বসবাসের উপযোগী, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশসহ অন্যান্য উপাদান যাতে সংরক্ষিত হয় এসব বিষয় মাথায় রেখে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। শহরের ক্ষতি হয় অর্থাৎ বসবাসের অনুপযোগী হয় এমন কাজ আর করতে দেওয়া হবে না। কাজ করতে গেলে বাধা আসবে, সমস্যা সমাধান করেই সামনে এগোতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ড্যাপে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এগুলো শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি শুধু কাগজে সীমাবদ্ধতা রয়েছে এমন বলা যাবে না। কারণ ড্যাপ প্রণয়নের পর থেকে কাজ হয়েছে এবং চলছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, পূর্বাচলে যে পরিমাণ মানুষের বসবাসের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে এর বেশি লোক যাতে থাকতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলের ১০ লাখ মানুষ বসবাসের জন্য বেইজ লাইন নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী রাস্তা-ঘাট, ভবনের উচ্চতা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসহ যাবতীয় কিছু নির্ধারণ করা আছে। এখন ওই এলাকায় যদি ১০ লাখের বেশি লোক বসবাস করে স্বাভাবিকভাবেই তা আর বাসযোগ্য অবস্থায় থাকবে না।
সভায় নগর পরিকল্পনাবিদরা দেশের প্রতিটি পৌরসভায় বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোতে একজন করে নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। কারণ পৌরসভায় নগর পরিকল্পনাবিদ থাকলে পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, প্রকল্প প্রণয়ন ও যাচাই-বাচাইসহ সবকিছু প্ল্যান করতে পারবে।
এর আগে মন্ত্রী ঢাকা শহরকে বসবাসযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে সেগুলো দূর করা এবং ভবিষ্যতে যাতে নতুন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানারসের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব কমার্সের সভাপতি ড. আকতার মাহমুদসহ প্রতিষ্ঠানের নগর পরিকল্পনাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/এসএম