স্বাধীনতাবিরোধীদের শক্ত হাতে দমন চায় তরুণ প্রজন্ম
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতাবিরোধীদের শক্ত হাতে দমন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তরুণ প্রজন্মও পাকিস্তানের দোসরদের শাস্তি চায়। তবে এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন হাজারো তরুণ। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপের সময় বাংলাদেশের বিরোধীতাকারীদের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়লেন তারা।
বিজ্ঞাপন
স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আয়োজনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় প্রতিবাদী নাটক ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাচাল’। এর সমন্বয়কারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সাবেক সভাপতি সানোয়ারুল হক সনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা এখনও সক্রিয়। তারা এখনও রাজনৈতিক কলকাঠি নাড়ছে। তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে এ ধরনের কুচক্রি, বিতর্কিত এবং স্বাধীনতাবিরোধী যারা ছিল, তাদের আমরা শক্ত হাতে প্রতিহত করব।
বিজ্ঞাপন
শহীদ বুদ্ধিজীবী হিতেন্দ্রনাথ চন্দ ছিলেন শিক্ষক। পাকিস্তানি হানাদাররা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। তার নাতনি প্রজ্ঞা চন্দ প্রতি বছরের মতো এবারও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করতে রায়েরবাজার এসেছেন।
ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বেশিরভাগ মানুষই বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন। নগণ্য সংখ্যক মানুষ স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন। আমরা স্বাধীনভাবে বাস করলেও মনের মধ্যে ক্ষোভটা রয়ে গেছে। নগণ্য ওই গোষ্ঠী এখনও সক্রিয় আছে। তারা মুখোশ বদলে রাজনীতিতে ঢুকছে, সমাজের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে গেছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাই।
তবে বুদ্ধিজীবীর নাতনি হয়েও কিছুটা আক্ষেপ তার চোখেমুখে। বলেন, আমি একজন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাতনি। কিন্তু সেভাবে সম্মাননা আমরা পাইনি।
প্রজ্ঞা বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। মূল ইতিহাস পাঠ করতে হবে। সঠিক ইতিহাস সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে এলে লুকিয়ে থাকা দোসরদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব।
এএজে/এসএসএইচ