বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেছেন, গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা। এরপর বড় অর্জন হলো আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। স্বাধীনতার পর যেখানে আমরা ৭ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারতাম না, সেখানে আমরা ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াচ্ছি। 

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ ভবনের মিলনায়তনে ব্রির নব নিয়োগপ্রাপ্ত ৪০ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগ ও আঞ্চলিক অফিসের প্রায় ১০০ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, দেশের চাহিদা মেটানোর পর কিছু চাল আমরা বিদেশেও রফতানি করছি। এটা আমাদের জাতীয় জীবনে এক অসামান্য অর্জন এবং এই অর্জন সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর সবুজ বিপ্লবের ডাক এবং তার কিছু নির্দেশনার ফলে।

মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে যে প্রেরণা দিয়েছেন তাতে কৃষি বিজ্ঞানীরা উৎসাহিত হয়ে একের পর এক ধানের উচ্চ ফলন শীল জাত উদ্ভাবন করছেন। কৃষক সেই জাত মাঠে আবাদ করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিপ্লব সাধন করেছে।

ব্রি মহাপরিচালক নব নিয়োগপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ সকল বিজ্ঞানীদের সততা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আবু বকর ছিদ্দিক এবং পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউিটের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানম। গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির প্রশিক্ষণ বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. শাহাদাত হোসেন।

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা, আঞ্চলিক কার্যালয় ও শাখা প্রধানরা।

আইএসএইচ