পিকে হালদারের সহযোগী রাশেদুলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক/ ছবি: সংগৃহীত
অর্থআত্মসাৎ ও পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের আরেক সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, গত ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিনে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়াররম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীকেও গ্রেপ্তার করে দুদক। পরের দিন দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত থেকে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আজ রিমান্ডের প্রথম দিন।
আলোচিত পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৩ জন শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে গত ২৫ জানুয়ারি পৃথক পাঁচ মামলা করে দুদক। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যেখানে আসামি করা হয় পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক এমডি রাশেদুল হককে।
এর আগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের মামলায় তার ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধা ও মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তীকা বড়াল এবং শঙ্খ ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদার পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পরপরই প্রশান্ত কুমার হালদারের নাম উঠে আসে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর হাজির হতে নোটিশ দিয়েছিল সংস্থাটি।
৩ অক্টোবর পি কে হালদারের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ঠিকই দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। পরে দেশে আসার কথা বলেও আর আসেননি। এরই মধ্যে ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারপোল।
এদিকে, পি কে হালদারের প্রতারণায় সহায়তাকারী ২৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আর এখন পর্যন্ত তার সহযোগী হিসেবে ৬২ জনকে শনাক্ত করেছে দুদক।
আরএম/এফআর