কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) পরিচালক ডিআইজি ড. হাসানুল হায়দার বলেছেন, সিপিএইচকে দেশের সেরা হাসপাতাল হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। বাংলাদেশের সেরা মেশিনারিজ দিয়ে হাসপাতালটিকে সাজিয়েছি এবং উন্নত সেবা দেওয়ায় আমরা ইতোমধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ) থেকে কি কি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন ও তাদের কোন কোন বিষয়ে সচেতন হতে হবে সে বিষয়ে অবহিত করতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশনায় ডিএমপি এ বিশেষ কল্যাণ সভার আয়োজন করে।

বিশেষ কল্যাণ সভায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আগামীর দিনগুলোতে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত কোনো সদস্যকে যেন চিকিৎসার জন্য বাহিরের কোনো হাসপাতালে যেতে না হয়, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

করোনা মহামারি সময়ে ডিএমপি কমিশনারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে তিনি বলেন, পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতায় করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদেরকে বিভিন্ন হোটেল ও স্কুলে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। সেসময় ৪৫টি আইসিইউর মাধ্যমে জটিল অবস্থায় থাকা রোগীদেরকে সেবা দেওয়া হয়েছে। যা বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বর্তমানে অত্র হাসপাতালে ৩০টি ডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের গত এক মাস থেকে অত্র হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে গুরুতর আহত রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে বাহির থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। 

এ বিশেষ কল্যাণ সভায় উপ পুলিশ কমিশনার (পরিবহন) মো. জোবায়েদুর রহমান, উপ পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞাসহ ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেইউ/আইএসএইচ