‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ চালু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক যুক্তরাজ্য সফর (৮ জানুয়ারি) স্মরণে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে।
বঙ্গবন্ধুর যুক্তরাজ্যে সফরের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার ‘ব্রিটেনে বঙ্গবন্ধু : দ্য হিস্টোরিক ৮ জানুয়ারি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
বিজ্ঞাপন
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ মন্ত্রী, বিভিন্ন দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এই ঐতিহাসিক সফরের কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং গেস্ট অব অনার ছিলেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মিনিস্টার অব স্টেট ও ইকোনমিক সেক্রটারি টু ট্রেজারি জন গ্লেন।
বিজ্ঞাপন
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান অ্যানেলিজ ডডস, হাউস অফ লর্ডসে লিবারেল ডেমোক্র্যাট গ্রুপের নেতা লর্ড নিউবি, অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশের ভাইস-চেয়ার বব ব্ল্যাকম্যান এবং হাউস অব কমন্স ফরেন অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ার টম টুগেনহাট অনুষ্ঠানে কনজারভেটিভ, লেবার এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরের ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান ওশান অধিদফতরের পরিচালক বেন মেলর এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার গাইত্রী ইসরার কুমার ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট সদস্য সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য সফর ২০২২ সালেও বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূ-কৌশলগত এবং কূটনৈতিক তাৎপর্য বহন করছে।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জানান, বঙ্গবন্ধুর যুক্তরাজ্য সফরের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মূল্যবোধভিত্তিক বন্ধুত্বকে সম্মান জানাতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্ব আরো গভীর ও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে যারা অসাধারণ অবদান রাখবেন, তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান হাইকমিশনার। এছাড়া ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারি এবং এর তাৎপর্য তরুণদের মধ্যে আরও প্রচার ও জনপ্রিয় করতে হাইকমিশনার একটি ‘৮ জানুয়ারি ফাউন্ডেশন’ গঠনেরও ঘোষণা দেন হাইকমিশনার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারি সফরের ওপর লন্ডন মিশন কর্তৃক নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
এনআই/আরএইচ