সড়কটি এখন সরু নেই, প্রশস্ত হয়েছে বেশ
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সামনের সড়ক
সড়কটি ছিল সরু, একদিক থেকে গাড়ি ঢুকলে অন্যদিক থেকে আসা রিকশা আটকে যেত। দুটি গাড়ি ঢুকলে তো আর কথাই নেই। একটি না পেছালে অন্যটি যেতে পারত না। রাজধানীর বাংলামটর সংলগ্ন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সামনের সড়কের নিয়মিত চিত্র ছিল এমনি।
তবে এখন সড়কটি সরু নেই, প্রশস্ত হয়েছে বেশ, হয়েছে মসৃণও। গত সেপ্টেম্বরে এ সড়কে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অভিযানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সড়কে বিআইডব্লিউটিসির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সীমানা থেকে ৩ ফুট ও ডান পাশের ব্যক্তিগত স্থাপনাগুলোর সীমানা থেকে তিন ফুট করে উচ্ছেদ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
উচ্ছেদের ফলে সরু সড়কটি ২০ ফুটে উন্নীত হয়। সম্প্রতি সংস্কারকাজসহ কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আর এতেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সামনের সড়কটি প্রশস্ত ও মসৃণ হয়েছে। এতে আনন্দিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আসা সাহিত্যপ্রেমী ও স্থানীয়রা।
বিজ্ঞাপন
বুধবার দুপুরে এ সড়কে সামনে কথা হয় মালিবাগ থেকে বিশ্বসাহিত্যে কেন্দ্রে আসা সাহিত্যপ্রেমী জুবায়ের আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও এ সড়কের খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। এখানে আগতদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কেউ যদি গাড়ি নিয়ে ঢুকতেন, তাহলে অনেক সময় আটকে থাকতে হতো। সিটি করপোরেশন এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর সড়কটি প্রশস্ত হয়েছে। এখন দুটি গাড়ি অনায়াসে যেতে পারে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংলগ্ন ১৮ নম্বর বাসার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিআইডব্লিউটিসির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সীমানা থেকে তিন ফুট ও ডান পাশের ব্যক্তিগত স্থাপনাগুলোর সীমানা থেকে তিন ফুট করে উচ্ছেদ করার কারণে সড়কটি প্রশস্ত হয়েছে। এখানকার বাড়িগুলোর ডিমান্ড বেড়েছে। প্রথমে বাড়ির মালিকরা জায়গা ছাড়তে চাননি। তবে এখন তারা খুশি।
সড়কটি প্রশস্ত হওয়ার পর অনেক সাহিত্যপ্রেমীই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। দীপঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, প্রশস্ত হলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গলি…আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবে রূপ পেল।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সড়কটি সম্প্রসারণে গত ২১ সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এতে ১৪ ফুটের সড়কটি ২০ ফুটে উন্নীত হয়। দক্ষিণ সিটির এমন উদ্যোগের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত লোকজনের পক্ষে থেকে সেসময় ধন্যবাদ জানান বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
তিনি বলেন, সড়কটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘ ২৫ বছরের চাওয়া পূর্ণতা লাভ করছে। আমরা করপোরেশনসহ বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে বারবার অনুরোধ জানিয়েছি। বর্তমান মেয়রকে রাস্তাটি সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম। বর্তমান মেয়র আমাদের সেই দাবি অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের গলি প্রশস্তকরণের এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা আরও সুন্দর, মনোরম ও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে বলে আমি আশা করি।
এএসএস/আরএইচ