রেস্তোরাঁসহ পর্যটন এলাকা শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অনলাইনে সংগঠন দুটি আয়োজিত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ২০৪০ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও করণীয়’  শীর্ষক এক সভায় বক্তারা এ অভিমত জানান।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত জায়গা নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা, চার দেয়ালে আবদ্ধ এককক্ষ বিশিষ্ট নয় এমন রেস্টুরেন্ট, একাধিক কক্ষবিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, লঞ্চ) ও অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থান রাখা যাবে। অথচ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা-৭ সংশোধন করে সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা উচিত। ধূমপানসহ যেকোনো ধরনের তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, যেহেতু ধূমপানের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, সেহেতু হোটেল রেস্তোরাগুলোকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমই পারে আমাদের এই বার্তা নিয়মিতভাবে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে।

এটিজেএফবির সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণ বলেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ধূমপান নিষিদ্ধ করতে কঠোর আইন করতে হবে। শতভাগ ধূমপানমুক্ত দেশ ভুটান কিন্তু পর্যটনে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তাই ধূমপানমুক্ত স্থান পর্যটন খাতের ক্ষতি করবে এমন ধারণা ভুল।

সভায় আরও সংযুক্ত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরাফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস অফিসার সরকার শামস বিন শরীফ এবং এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএস-এর অনলাইন ইনচার্জ তানজীব আনোয়ার প্রমুখ।

এইচএন/এইচকে