২০২২ সালেই রেলে চেপে কক্সবাজার
রেলপথ মন্ত্রীর দপ্তরে ক্র্যাব নেতারা- ছবি : ঢাকা পোস্ট
২০২২ সালে ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি ) মন্ত্রী তার নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে যুক্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা উচ্চগতি সম্পন্ন ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন। যার গতি হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। দ্রুতগতির এসব ইঞ্জিন আসা শুরু হবে আগামী মার্চ মাসেই। পাশাপাশি কোরিয়া থেকে আনা হবে উচ্চ গতিসম্পন্ন ৮টি মিটারগেজ ইঞ্জিন। ২০২২ সালের শেষ দিকে কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশের রেল যোগাযোগ শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
• কোরিয়া থেকে আসছে উচ্চ গতির ৮ ইঞ্জিন
• যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৩০ কি.মি. গতির ৪০ ইঞ্জিন
• আধুনিকায়ন হচ্ছে কমলাপুর রেলস্টেশনের
• যাত্রী বাড়ছে রেলে
• রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা কমাতে কাজ চলছে
ক্র্যাব নেতাদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে রেল যোগাযোগ বাড়াতে আরও চারটি বড় রেলস্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে। চলতি অর্থ বছরেই ৫০টি জরাজীর্ণ রেলস্টেশন সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ বাস্তবায়ন হবে। যেসব স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলো নিচু আছে সেগুলো উঁচু করা হবে।
বিজ্ঞাপন
অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, ওই দিনই ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হবে। ঢাকা-যশোর পদ্মা লিংক রেললাইনে কোনো গেট থাকবে না। সবগুলো ওভারপাস ও আন্ডারপাস থাকছে। পদ্মার কাজ সম্পন্ন হলে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা কমাতে কাজ করছি। আমরা ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছি। রেল তার নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই ক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনকে আরও আধুনিক করা হচ্ছে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩৩ প্রকল্পে ফোর্থ লাইন, থার্ড লাইন ও ডাবল লাইনের কাজ চলছে। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত চার লাইন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন আগামী বছরই চালু হবে বলে আমরা আশা করছি। যমুনা রেল সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া মুন্সিগঞ্জ-সাতক্ষীরা-খুলনা রেললাইন স্থাপনের ফিজিভিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্পে জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ চলছে। রেলের চলমান এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রেলে অভাবনীয় পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, এক সময় মানুষের ট্রেনের প্রতি আগ্রহ ছিল না। বর্তমানে রেলের উন্নয়ণের ফলে মানুষের আগ্রহ ও আস্থা বেড়েছে। রেলে যাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাদের ভালো কাজগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক হাসান-উজ-জামান, অর্থ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান, দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রুদ্র মিজান, ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফ বাবলু, প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুদ্র রাসেল ও কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম সাত্তার রনি।
এমএসি/এইচকে