শতভাগ বিদ্যুৎ পাচ্ছে হাতিয়া, নিঝুম ও কুতুবদিয়া দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপের এসব ছোট ছোট ঘরে পৌঁছাবে বিদ্যুৎ/ ছবি: সংগৃহীত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতেই হাতিয়া, নিঝুম ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হচ্ছে। ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একনেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি রয়েছে সরকারের। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগ পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপগুলোতে সাগরের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নেওয়া হবে। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে থেকে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। আর এর মাধ্যমেই জাতীয় গ্রিডের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এই দ্বীপগুলো।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের সরকারের। দেশের একটি ঘরও বিদ্যুতের সুবিধার বাইরে থাকবে না। আমাদের সরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। দ্বীপগুলোতে বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত হলে এখানে পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়বে।
বিজ্ঞাপন
‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জুলাই ২০২০ সাল থেকে জুন ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
উল্লেখ্য, আইপিপির মাধ্যমে আট থেকে ১০ মেগাওয়াট তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে হাতিয়া দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে হাতিয়া থেকে চ্যানেলের তলদেশ দিয়ে পারাপার করে নিঝুম দ্বীপ এবং মগনামা থেকে চ্যানেলের তলদেশ দিয়ে পারাপার করে কুতুবদিয়া দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে।
বর্তমানে বিপিডিবির হাতিয়া দ্বীপে দুই হাজার ৫৫৮ জন, কুতুবদিয়া দ্বীপে এক হাজার ২০০ জন গ্রাহক রয়েছেন। নিঝুম দ্বীপে কোনো গ্রাহক নেই। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৭ এমভিএ বা ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। এসবের মাধ্যমে ৪২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া যাবে।
এসআর/এফআর