দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ আফগানিস্তান, কম ভুটান
২০২১ সালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে (সিপিআই) দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে (অষ্টম স্থান) আফগানিস্তান। সিপিআই সূচকে যার স্কোর ১৬।
অন্যদিকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় আফগানিস্তানের অবস্থান চতুর্থ। কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যার অবস্থান ১৭৪তম।
বিজ্ঞাপন
আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় সবার ওপরে ভুটান। দেশটির স্কোর ৬৮। কম দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে বিশ্বের মধ্যে ২৫তম স্থান পেয়েছে দেশটি।
বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থার প্রকাশ করা ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
খারাপ থেকে ভালো বিবেচনায় ২৬ স্কোর পেয়ে সপ্তম স্থান বাংলাদেশের। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম, আর কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৭তম।
টিআই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ২৮ স্কোর পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যার অবস্থান ১৪০তম।
অনুরূপভাবে ৩৩ স্কোর পেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে নেপাল। কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে যার অবস্থান ১১৭তম।
আর ৩৭ স্কোর পেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে যার অবস্থান ১০২তম।
সিপিআই সূচকে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০ পেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তালিকায় তৃতীয় স্থানে মালদ্বীপ ও ভারত। কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে দেশ দুটির অবস্থান ৮৫।
অন্যদিকে এবারে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশেরই স্কোর হয় কমেছে বা একই রয়েছে। কোনো দেশেরই স্কোর বাড়েনি। স্কোর কমেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের। আর সিপিআই সূচক-২০২০ অনুযায়ী স্কোর একই রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের।
১০০ ভিত্তির এ সূচকে শূন্য স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতার ধারণায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ১০০ স্কোরকে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত বা সর্বোচ্চ সুশাসনের দেশ হিসেবে বিবেচনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
আরএম/এসএম