একাত্তরে পাকিস্তানিদের শোচনীয় পরাজয় হলেও পাক হানাদারদের এদেশীয় দোসর ও উত্তরসূরীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো গভীর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেছেন, দেশের ভেতরে তারা ষড়যন্ত্র করছে। আবার বিদেশে বসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মিথ্যাচার দেখলে মনে হবে নব্য পাক হানাদাররা এখন আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে তার নীতি ও আদর্শে অর্জিত এ দেশটির বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানে বাংলাদেশকে হত্যা করা। নতুন প্রজন্মকে বলতে চাই, আপনারা জাতির পিতার জীবন পাঠ করুন, দেখবেন একজন মানুষ কেমন হতে পারে, একজন মহাবীরের জীবনটা কেমন হতে পারে। সমগ্রজাতিকে একত্র করে কিভাবে দেশ স্বাধীন করা হতে পারে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কোভিডকালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে কার্যক্রম শুরু করেছি। গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মেনেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহাদাৎ হোসেন ও সেলিমা সুলতানা, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসীনুল আলম, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিন, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহরীয়ার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

এনএইচ/এসএম