জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুম্মা বায়তুল মোকাররমে হাজারো মুসুল্লির অংশগ্রহণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা নামাজে মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে মরহুম খতিবের ছেলে বলেন, বাবার জন্য দোয়া করবেন, তার জান্নাত নসিবে দোয়া ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন। যদি কোনো লেনদেন থাকে জানাবেন। আর তার ভুল ত্রুটিগুলো আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দেবেন।

জানাজায় অংশ নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, আজ আমাদের জন্য শোকের দিন। জাতীয় মসজিদের খতিব সবার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি গতকাল মারা গেলেন। আজ তার শেষ বিদায়। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, তিনি সর্বদা হাসিমুখে কথা বলতেন। তিনি সুফিবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। 

এছাড়া তার জানাজায় অংশ নেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তার বড় শ্যালক হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর প্রথম জানাজা শেষে জিগাতলায় দ্বিতীয় জানাজা ও মিরপুরে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে। 

মরহুম সালাহউদ্দিনের অসিয়ত অনুযায়ী মিরপুর এলাকায় তার একজন পীরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান হাবিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, মাওলানা সালাহউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন।

২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি মাওলানা সালাহউদ্দিনকে খতিব হিসেবে নিয়োগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে তিনি মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৬ সালে বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি মুহাম্মদ নুরুদ্দীন।

জেইউ/আইএসএইচ