তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার: রাজনীতিতে নতুন দিকনির্দেশনার অনুসন্ধান
বাংলাদেশের রাজনীতি বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা, আশা-হতাশা ও রক্তমাখা ইতিহাসের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। প্রজন্ম, প্রযুক্তি ও ভাবনার পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্টেছে সময়ের ধারা, কিন্তু রাজনীতির চরিত্রে যে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে— তা থেকে বেরিয়ে আসার প্রত্যাশা এখন সর্বজনীন। ঠিক এমন সময় বিবিসি বাংলাকে দেওয়া তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার রাজনীতির এক নতুন দিকনির্দেশনা হিসেবে আলোচনায় এসেছে।
এই সাক্ষাৎকার কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়— এটি এক গভীর দর্শন, আত্মপ্রতিফলন ও প্রত্যাশার প্রতিচ্ছবি। তার বক্তব্যে যেমন আছে নৈতিকতা ও জনগণের কল্যাণের প্রতিশ্রুতি, তেমনি রয়েছে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুনভাবে পথচলার সাহস।
বিজ্ঞাপন
সেবা ও জনগণের কল্যাণ: দিকনির্দেশনার সূচনা
রাজনীতি ক্ষমতার জন্য নয়, বরং মানুষের সেবা ও সমাজের কল্যাণের মাধ্যম হওয়া উচিত। তারেক রহমানের মতে, সত্যিকারের রাজনীতি শুরু হয় জনগণের প্রয়োজন ও স্বপ্নকে কেন্দ্র করে, ক্ষমতার আসনে নয়। তার নিজের ভাষায়, “আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য… আমাদের রাজনৈতিক সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ… জনগণের সিদ্ধান্তের উপরে আমরা আস্থা রাখতে চাই।”
বিজ্ঞাপন
এই বক্তব্যে রাজনীতির আত্মা হিসেবে জনগণকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার আহ্বান আছে। সরকার ও প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত কাজ হলো সেই ক্ষমতা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া, যা নির্বাচন ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে জনগণের হাতে থাকা উচিত।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি যতই অনন্য ও প্রাসঙ্গিক হোক না কেন, বাস্তবায়নের পথে প্রধান বাধা হিসেবে উপস্থিত হবে স্বার্থান্বেষী ও তোষামোদি ব্যক্তিবর্গ। এদের মধ্যে একটি অংশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের বিভিন্ন ধারায় বিদ্যমান। যেমন কথায় বলা হয়েছে, “ঘরের শত্রু বিভীষণ।” যদি তারেক রহমান এ বিষয়ে সতর্ক থাকেন, তাহলে আশা করা যায়, নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে
নমিনেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তার দৃষ্টিভঙ্গি নতুন চিন্তার জন্ম দেয়। তিনি বলেছেন, “…নমিনেশন দিতে চাইব, যে ওই এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন আছে, যার সাথে ওই এলাকার মানুষের সম্পৃক্ততা আছে, উঠাবসা আছে, যে ওই এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। … জনগণের যার প্রতি সমর্থন আছে সেরকম মানুষকে দেখেই আমরা নমিনেশন দেব।”
এই বক্তব্যে ব্যক্তিস্বার্থ বা গোষ্ঠীগত প্রভাবের জায়গায় স্থান পেয়েছে জনগণের আস্থা ও তৃণমূলের যোগাযোগ— যা সত্যিকার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতীক।
আরও পড়ুন
প্রতিফলন: অতীত থেকে শেখার রাজনীতি
একজন রাজনীতিকের পরিপক্বতা প্রকাশ পায় তখনই, যখন তিনি অতীতের ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা গড়ে তোলেন। তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে সেই আত্মসমালোচনামূলক সুর স্পষ্ট।
তিনি দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হওয়া নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও সম্পত্তি-হরণের ঘটনাগুলো উল্লেখ করেছেন— অভিযোগের ভঙ্গিতে নয়, বরং শিক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে। তিনি বলেছেন, “… অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। … আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে, ভবিষ্যৎ বিএনপির গণতন্ত্রের যে বুনিয়াদ, একটি শক্তিশালী বুনিয়াদ তৈরি করা। জবাবদিহিতা তৈরি করা।”
এই বক্তব্য কেবল অভিজ্ঞতার স্বীকারোক্তি নয়, বরং আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মোন্নয়নের প্রতিজ্ঞা।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে তিনি “জনগণের আন্দোলন” বলে বর্ণনা করেছেন— যা প্রমাণ করে তার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু এখন দল নয়, জনগণ। তাছাড়া তিনি প্রযুক্তি ও তরুণ প্রজন্মের মানসিক পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করেছেন। এটি তার অভিযোজনশীল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের প্রমাণ— যিনি অতীতের স্থবির রাজনীতিকে নতুন বাস্তবতায় রূপ দিতে চান।
প্রত্যাশা: সাধারণ জনগণ থেকে শুরু হোক নতুন রাজনৈতিক যুগ
তারেক রহমানের বক্তব্যে সাধারণ জনগণের গুরুত্ব প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, “… আমরা নির্বাচন করছি এমন একজন ব্যক্তিকে যেই শুধু দলেরই সমর্থন নয়, বরং দলমত নির্বিশেষে ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষের সমর্থন যার প্রতি আছে।” এই ঘনিষ্ঠতা কেবল সাংগঠনিক নয়, এটি রাজনৈতিক দর্শনেরও প্রতিফলন— কারণ তিনি মনে করেন পরিবর্তনের সূচনা নিচ থেকে, জনগণের কাছ থেকেই আসবে।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি বলেছেন, “… আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে, ভবিষ্যৎ বিএনপির গণতন্ত্রের যে বুনিয়াদ, একটি শক্তিশালী বুনিয়াদ তৈরি করা। জবাবদিহিতা তৈরি করা।” এই বক্তব্য শুধু দলীয় লক্ষ্য নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক ভবিষ্যৎ রূপরেখা। যেখানে নেতৃত্ব মানে ক্ষমতা নয়, বরং দায়িত্ব; যেখানে রাজনীতি মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং সহযোগিতা; যেখানে পরিবর্তন মানে প্রতিশোধ নয়, বরং পরিশুদ্ধি
দলীয় শৃঙ্খলার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রাথমিক তদন্ত করা হয় এবং ৭০০০টিরও বেশি ঘটনায় সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি শুধু প্রশাসনিক দক্ষতার ইঙ্গিত নয়, বরং রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠারও প্রয়াস।
তার মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব, রাজনৈতিক দলের নয়। “… পুলিশিং তো রাজনৈতিক দলের কাজ না পুলিশিং করার দায়িত্ব সরকারের।”— এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি আইন ও প্রশাসনের পৃথক ভূমিকা স্বীকার করেছেন, যা ক্ষমতার অপব্যবহারের বিপরীতে এক নতুন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি।
নেতৃত্ব মানে সেবা, নয় উত্তরাধিকার: ব্যক্তিগত উদাহরণ হিসেবে তারেক রহমান
তারেক রহমান নিজের বক্তব্যে এটিই বুঝতে চেয়েছেন যে, রাজনীতি সেবার মাধ্যম হতে হবে, উত্তরাধিকারের মাধ্যমে নয়। “রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে অনেকের সন্তান পলিটিক্সে এসেছে। সবাই কি ভালো করেছে? সবাই ভালো করেনি। কেউ কেউ করেছে কেউ কেউ করতে পারেনি ভালো।”
এটি শুধু তত্ত্ব নয়। তার পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে সেবামূলক রাজনীতির যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, সেটিকে বেগম খালেদা জিয়া এগিয়ে নিয়েছিলেন এবং এখন তারেক রহমান তা নতুন প্রজন্মের প্রেক্ষাপটে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।
নিজের কষ্ট, নির্বাসন ও সংগ্রামের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি যে ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, তা একজন নেতৃত্বের নৈতিক দৃঢ়তার প্রকাশ। এই আত্মসংযম ও সহিষ্ণুতা তাকে কেবল রাজনৈতিকভাবে নয়, নৈতিকভাবেও শক্তিশালী করেছে।
গণতন্ত্র, সংলাপ ও বহুদলীয়তার পুনর্জন্ম
তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে গণতন্ত্র ও সংলাপের বার্তা একাধিকবার উচ্চারিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, “... কোনো দল কোনো ব্যক্তি নয়, এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।” এই বক্তব্যে একক নেতৃত্বের অহমিকা নেই; আছে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের স্বীকৃতি।
তিনি আরও বলেছেন, “দেখুন, কোনো দল বা সমষ্টিগতভাবে কোনো দল যদি বাংলাদেশের যে আইন আছে, বৈধ আইন আছে। বাংলাদেশের যে সংবিধান, এখনো যেটি আছে এই সবকিছুর ভেতরে থেকে অর্থাৎ মানুষের সমর্থন-গ্রহণযোগ্যতা সবকিছুর ভেতরে থেকে যারা রাজনীতি করবে তারা করতেই পারে।” এটি তার বহুদলীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন, যেখানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, বরং অংশীদার হিসেবে অন্যদের দেখা হয়।
আরও পড়ুন
নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “… যত দ্রুত নির্বাচনটি হবে, তত দ্রুত দেশের মধ্যে একটি স্থিতিশীলতা আসবে।”
এখানে তার উদ্দেশ্য শুধুই ক্ষমতায় ফেরা নয়, বরং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা— যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অন্যতম শর্ত।
দুর্নীতির প্রসঙ্গেও তারেক রহমান কোনো ‘আবেগনির্ভর প্রতিশ্রুতি’ দেননি। তিনি স্বীকার করেছেন, দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি এবং এটি রাতারাতি দূর হবে না; তবে সময় নিয়ে কাজ করে প্রমাণ করতে হবে যে পরিবর্তন সম্ভব। তিনি বলেছেন, “… জনগণ যদি আমাদেরকে সেই সুযোগ দেন, তাহলে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আমরা যাতে একটি এমন অবস্থা তৈরি করতে পারি যেখানে কিছুটা হলেও আমরা বহির্বিশ্বে অন্য দেশের সামনে কিছুটা হলেও যাতে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারি।” এই বাস্তবতাবোধই তার নৈতিক রাজনীতির দিকনির্দেশনাকে আরও দৃঢ় করেছে
দায়িত্ব, বাস্তবতা ও জবাবদিহি: প্রয়োগযোগ্য রাজনীতি
সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো— তিনি কেবল আবেগ বা প্রতিশ্রুতি দেননি, বরং বাস্তবতার কথা বলেছেন।
দুর্নীতির প্রসঙ্গেও তারেক রহমান কোনো ‘আবেগনির্ভর প্রতিশ্রুতি’ দেননি। তিনি স্বীকার করেছেন, দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি এবং এটি রাতারাতি দূর হবে না; তবে সময় নিয়ে কাজ করে প্রমাণ করতে হবে যে পরিবর্তন সম্ভব।
তিনি বলেছেন, “… জনগণ যদি আমাদেরকে সেই সুযোগ দেন, তাহলে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আমরা যাতে একটি এমন অবস্থা তৈরি করতে পারি যেখানে কিছুটা হলেও আমরা বহির্বিশ্বে অন্য দেশের সামনে কিছুটা হলেও যাতে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারি।”
এই বাস্তবতাবোধই তার নৈতিক রাজনীতির দিকনির্দেশনাকে আরও দৃঢ় করেছে।
তিনি রাজনৈতিক দল ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জবাবদিহিতার কথাও বলেছেন— “পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করবে। বিএনপি ইনশাল্লাহ সরকার গঠন করলে আমার দলের কোনো নেতাকর্মী তখনও যদি এ রকম কোনো অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হয় আমরা দলের অবস্থান থেকে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিব।” এটি প্রমাণ করে তিনি কেবল রাজনৈতিক পরিবর্তনের নয়, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথাও ভাবছেন।
নিজে নির্বাচনী মাঠে নামার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূলের মতামতই প্রাধান্য পাবে। এটি “অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি”-র একটি বাস্তব উদাহরণ— যেখানে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীভূত নয়, বরং বিকেন্দ্রীকৃত।
নৈতিকতা ও জবাবদিহির রাজনীতি: এক নতুন যুগের স্বপ্ন
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি বলেছেন, “… আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে, ভবিষ্যৎ বিএনপির গণতন্ত্রের যে বুনিয়াদ, একটি শক্তিশালী বুনিয়াদ তৈরি করা। জবাবদিহিতা তৈরি করা।”
এই বক্তব্য শুধু দলীয় লক্ষ্য নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক ভবিষ্যৎ রূপরেখা। যেখানে নেতৃত্ব মানে ক্ষমতা নয়, বরং দায়িত্ব; যেখানে রাজনীতি মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং সহযোগিতা; যেখানে পরিবর্তন মানে প্রতিশোধ নয়, বরং পরিশুদ্ধি।
তারেক রহমানের এই দৃষ্টিভঙ্গি যদি সত্যিই তার দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে প্রতিফলিত হয়, তবে রাজনীতি নতুন মাত্রা পেতে পারে— যেখানে থাকবে নৈতিকতা, সততা ও জনগণের কল্যাণ।
আরও পড়ুন
এক নতুন রাজনৈতিক যুগের সম্ভাবনা
সাক্ষাৎকারের শেষ অংশে তার একটি বক্তব্য যেন সারাংশের মতো— “আমরা তো কোনো হাইড অ্যান্ড সিক করছি না। আমি যেটা মনে করছি, যেটা আমার দৃষ্টিতে ঠিক না, আমি বলছি ঠিক না।”
এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক। তিনি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দমনমূলক আইনগুলো সংস্কারের কথা বলেছেন এবং পরিবেশ সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক কথায়— তিনি রাজনীতিকে মানবিক, যুক্তিনির্ভর ও বাস্তবমুখী করার চেষ্টায় আছেন।
একটি সাক্ষাৎকার বা বক্তব্যের বিষয়বস্তুকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা গেলেও, তা বাস্তবায়ন করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি যতই অনন্য ও প্রাসঙ্গিক হোক না কেন, বাস্তবায়নের পথে প্রধান বাধা হিসেবে উপস্থিত হবে স্বার্থান্বেষী ও তোষামোদি ব্যক্তিবর্গ। এদের মধ্যে একটি অংশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের বিভিন্ন ধারায় বিদ্যমান। যেমন কথায় বলা হয়েছে, “ঘরের শত্রু বিভীষণ।” যদি তারেক রহমান এ বিষয়ে সতর্ক থাকেন, তাহলে আশা করা যায়, নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।
প্রফেসর ড. খালিদুর রহমান
পরিসংখ্যান বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট