ন্যায্যমূল্যে গণরেশন চালুর দাবি এবি পার্টির
দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের দুর্ভোগ চূড়ান্ত মাত্রায় উপনীত হওয়ার প্রেক্ষিতে এবি যুব পার্টি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে। শনিবার (৫ মার্চ) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
প্রতিবাদী অবস্থান ও সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, পল্টন মোড় ও সেগুন বাগিচা ঘুরে বিজয় নগরস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
যুবনেতা ইলিয়াস আলীর সঞ্চালনা ও এবি যুব পার্টির সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবি পার্টির আহ্বায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, মাফিয়া চক্রের সিন্ডিকেট কৃত্রিমভাবে বার বার পরিকল্পিতভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে চলছে। এই মাফিয়া চক্রের উপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই বরং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকেরা এর সঙ্গে জড়িত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সরকার যদি অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য কমানো এবং মানুষের কষ্ট দূর করার কার্যকর পদক্ষেপ না নেন তাহলে দল মত নির্বিশেষে সবাই রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি সরকারের পাশাপাশি বড় বড় মিল কারখানা ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলোকে নিজস্ব গরীব কর্মচারীদের জন্য চাল, ডাল, তেল, চিনি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সুলভ মূল্যে প্রাপ্তির জন্য ‘মানবিক বাজার ব্যবস্থাপনা’ চালু করার দাবি জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ও যুগ্ম সদস্য সচিব বি এম নাজমুল হক বলেন, খাদ্য মানুষের সবার আগে প্রয়োজন। চাল,ডাল, তেলের দাম অবিলম্বে কমাতে হবে। হয় বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন নইলে গাদি ছাড়েন। এভাবে আর চলতে পারেনা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক এম আমজাদ খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্যতম নারী নেত্রী সুলতানা রাজিয়া, ছাত্রনেতা আল আমিন প্রিন্স, দক্ষিণের অন্যতম নেতা আমিরুল ইসলাম, যুবনেতা তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, মির্জা সাইফুল ইসলাম, আমেনা বেগম সহ যুবপার্টি, মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
জেইউ/আইএসএইচ