চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ‌ কথা বলেন। মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এরইমধ্যে লাইসেন্সের খসড়া প্রিন্ট শুরু হয়েছে। কার্ডের মান এবং প্রিন্ট কোয়ালিটি চুক্তি অনুযায়ী হতে হবে। গুণগত এবং স্মার্টকার্ডের বৈশিষ্ট্য যা যা থাকার কথা তার কোনোটির সঙ্গেই আপস করা যাবে না। এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর যেন না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে গুরুত্বের সঙ্গে মনিটর করতে হবে।

তিনি বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত কার্ড সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ায় গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে হবে। গুটি কয়েক অনিয়মকারীর জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে পারে না।

এসময় বিআরটিএ’র সেবার মান বাড়ানো, বিভিন্ন যানবাহন সেবায় গতি আনা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।  

সংশ্লিষ্টদের অনিয়মের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে সেবামুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিআরটিএ-কে সত্যিকার অর্থে সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এখনো দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে বাইরের সুবিধাভোগীদের সখ্যতায় গড়ে উঠেছে এ চক্র।

বিআরটিএ-তে দালাল ধরতে ম্যাজিস্ট্রেটদের আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে শক্ত হাতে এসব অনিয়মের চক্র ও দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

বিআরটিএ-তে তদবির বাণিজ্য বন্ধ করার কঠোর নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেসব কর্মকর্তা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যানবাহনের ফিটনেস নেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি, এক্ষেত্রে সেবা সহজ করা এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যেকোনো সার্কেল অফিস থেকে যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেওয়া যাচ্ছে। আগে ফিটনেস দেওয়া হতো এক বছরের জন্য, এখন দেওয়া হয় দুই বছরের জন্য।

তিনি জানান, সরাসরি ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসেই ১৮টি ব্যাংকের চারশ’র বেশি শাখা এবং বুথে মোটরযানের বিভিন্ন ফি জমা দিতে পারছেন গ্রাহক। সড়কে দুর্ঘটনা এখনো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখন মূল লক্ষ্যই হতে হবে সড়কে দুর্ঘটনা কমানো, এই বিষয়ে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সৎ লোকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অসৎ লোকদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

এইউএ/এসএসএইচ/জেডএস