আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, যারা সরকারের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে তারাই শুধু সরকারি জোটে ভোট দেবে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে নির্যাতিত-নিপীড়িত বিশাল জনগোষ্ঠী বিরোধী জোটে ভোট দেবে। তাই জাতীয় পার্টির অবস্থান পরিষ্কার। আমরা সাধারণ মানুষের কাতারে নেতৃত্ব দেব। 

রোববার (১০ এপ্রিল) জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতি করছে। কিন্তু দেশের মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাই জাতীয় পার্টির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে আগামী নির্বাচনে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির ওপর ভরসা রাখতে চায়, সেজন্য জাতীয় পার্টিকে আরো সুসংহত করতে হবে। নির্বাচন এলে কিছু মানুষ সরকারি দলের দালালি করতে চায়। যারা দালালি করবে জাতীয় পার্টিতে তাদের জায়গা হবে না। 

প্রতিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় পার্টির প্রতি অবিচার করা হয়েছে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় পার্টির জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড ছিল না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে। আবার নিজেদের ইচ্ছে মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিও। তাই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না। 

যানজটের কারণে রাজধানীর মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, অসুস্থ রোগী অ্যাম্বুলেন্সে নিলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই পথে মারা যাওয়ার অবস্থা হয়। 

আগামী ঈদে সড়ক পথের শৃঙ্খলা রক্ষায় এখনই কাজ করতে হবে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিটি ঈদে দেশবাসী শেকড়ের টানে ছুটে যায়। পথে পথে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। এসময় দুর্ঘটনাও বেড়ে যায়। তাই সড়কের ভোগান্তি রোধ করতে এবং ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে এখনই কাজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভপতিত্বে ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ।

এএইচআর/জেডএস