করোনা মোকাবিলায় অবদান রাখা চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের একটিবারের জন্যও বিএনপি ধন্যবাদ জানায়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরাট অবদান রয়েছে। কিন্তু বিএনপি একটিবারের জন্যও তাদেরকে ধন্যবাদ জানায়নি। উল্টো তারা করোনার টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশকে যাতে অন্য কোনো দেশ সাহায্য-সহযোগিতা না করে, বিদ্যমান সহায়তা বন্ধ করে দেয় সেজন্য দলটি জোর অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এটা তো দেশদ্রোহিতার শামিল। আসলে বিএনপি দেশদ্রোহী রাজনৈতিক দল। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতিতেও পটু।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের অধীনে ৪০০ টাকা বেতন পেতেন। জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন মাত্র। শুধু জিয়া নয় অনেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার করেছিলেন। অথচ বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর অপচেষ্টা করছে। এটা হলো স্কুলের দারোয়ানকে হেডমাস্টার বানানোর মতোই।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি এমনই একটি দল যারা বর্তমানেও বিভিন্ন বিষয়ে প্রকৃত তথ্য বিকৃত করছে। ক্রমাগত ইতিহাসকে বিকৃত করে চলছে। যারা ক্রমাগত প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করছে, হত্যা করছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মুজিবনগর সরকার হচ্ছে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম কার্যকরী সরকার। গণতন্ত্র, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছিল ওই সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য। মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জীবনের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় ইতিহাস। 

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

আলোচনা সভায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন শাহ, ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবতোষ চন্দ্র পাল, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বক্তব্য রাখেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. স্বপন কুমার তপাদারের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, টেকনোলজিস্ট, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/আরএইচ