বিএনপিকে ধ্বংস করা সময়ের ব্যাপার মাত্র
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপিকে ধ্বংস করা মাত্র সময়ের ব্যাপার। কারণ তারা চোর না শুনে ধর্মের কাহিনীর মতোই একটি গণ্ডার। এই বাহিনীর একটি চূড়ান্ত যবনিকা হওয়া প্রয়োজন।
শনিবার (৪ জুন) বিকেলে জেলা পরিষদ চত্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নাছির বলেন, জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মূল রূপকার এবং তার বশংধররা বিএনপির নামাবলি গায়ে দিয়ে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপি হত্যার রাজনীতি চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এবার আবার ডাক দিয়েছে ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক। এর বিরুদ্ধে একটিই জবাব ৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। শেখ হাসিনার কাছ থেকে একটি মাত্র হুকুমের অপেক্ষা। তিনি ডাক দিলেই ৭১ এর হাতিয়ার চেতনায় অন্তরে ধারণ করে পরাজিত শক্তির বশংধর বিএনপিকে ধ্বংস করা মাত্র সময়ের ব্যাপার। কারণ তারা চোর না শুনে ধর্মের কাহিনীর মতই একটি গণ্ডার। এই বাহিনীর একটি চূড়ান্ত যবনিকা হওয়া প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
আ.জ.ম. নাছির আরও বলেন, বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এসবের সঙ্গে নেই। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য এই দেশকে পাকিস্তান বানানো। যারা ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তান বানাতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে, তারা আবার ৭৫ এর পাকিস্তানি ঘাতক কাটা হাতিয়ারকে জেগে উঠতে বলছে। তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করা ছাড়া আমাদের রক্ষা নেই। আজ সারা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। কিন্তু বিএনপি তাকিয়ে আছে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তির দিকে। তারা চায়নি এই দেশের মঙ্গল, তারা চায়নি পদ্মা সেতু। কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা।
এই মুহূর্তে সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ শক্তির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, চারিদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি কোন ষড়যন্ত্রই আমাদেরকে রুখতে পারবে না। এই চট্টগ্রামের মাটি এম. এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম.এ হান্নান, এম. এ মান্নান, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘাঁটি। এই মাটিতে কোন মীরজাফর এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের স্থান নেই। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার বিজয় ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। নেত্রী যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন তাকে বিজয়ী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য ও ব্রত। মনে রাখতে হবে ত্যাগের নামই রাজনীতি, ভোগ বিলাস নয়।
প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু হত্যার মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করেছে। তারা এখনও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এই হত্যার বদলা হত্যা দিয়েই হতে পারে। তবে আমরা সেই পথে যেতে চাই না। শেখ হাসিনা যেভাবে আমাদের নির্দেশ দেবেন সেইভাবে চলব। আমরা একটি শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। কিন্তু ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া পাপবিদ্ধ কোন দলকে আমরা এই বাংলার মাটিতে চাই না।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জেলা পরিষদ চত্বর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের বাংলাদেশ ব্যাংক, কোতোয়ালী মোড়, দোস্ত বিল্ডিং, নিউমার্কেট হয়ে আমতল দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয় সম্মুখে এসে শেষ হয়।
কেএম/আইএসএইচ