সীতাকুণ্ডের ঘটনা জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কি না, প্রশ্ন হারুনের

সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কি না— সে বিষয়ে জাতীয় সংসদে মন্ত্রীর সুস্পষ্ট বিবৃতি দাবি করেছেন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন দাবি করেন।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, গতকাল রাতে খবর পাওয়া গেল, সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। আমি যখন সংসদ অধিবেশনে যোগদানের জন্য আসি, তখন প্রায় ৪০ জনের বেশি মারা গেছেন বলে জানতে পারি। শত শত মানুষ চিকিৎসার জন্যে বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছে। সেখান রক্তের স্বল্পতা এবং চিকিৎসার ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে টিম গিয়েছে। এটি ভয়াবহ। এ ৫০ বছরের মধ্যে ডিপোতে এ ধরনের ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি।

তিনি বলেন, এটি একটি বেসরকারি ডিপো। নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা সরকারিভাবে করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এটি কি কোনো জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র? কারণ এখানে ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার কনটেইনার সেখানে সংরক্ষিত ছিল। এর মালিক এখনো গ্রেপ্তার হননি। এর ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যারা জড়িত, এখনো তাদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। আমি জানি না তাদের আইনের আওতায় আনা হবে কি না।

বিএনপিদলীয় এ সংসদ সদস্য বলেন, সাধারণ কনটেইনারের মধ্যে যদি দাহ্য পদার্থ রাখা হয়, তবে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গোটা ডিপো আজ যেভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে? যারা ওখানে আমদানি-রপ্তানির জন্য এ কন্টেইনারগুলো মজুত করেছিল, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলো তাদের কে পুনর্বাসন করবে? কে অর্থ সহায়তা দেবে? হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে। এখনো জানি না যে, এখানে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমি মহান সংসদে মন্ত্রীর কাছ থেকে সুস্পষ্ট বিবৃতি চাই যে, এটি কীভাবে সংঘটিত হয়েছে। এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, সে বিষয়ে স্পষ্ট বিবৃতি আমরা দাবি করছি। আমি মনে করি আজ যেহেতু বন্দরগুলো আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশ ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে, এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে কি না। এখানে সেনাবাহিনীসহ যারা বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আগামী বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই মন্ত্রী সুস্পষ্ট বিবৃতি দেবেন- এটি আমার দাবি থাকবে। 

এইউএ/আরএইচ