চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাখা কেমিক্যালের মেয়াদ ছিল কি না, তদন্ত করে তা বের করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক কলকারখানায় দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। সীতাকুণ্ডের ঘটনার মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে বাংলাদেশে কাজের কোনো পরিবেশ নেই, শ্রমিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই, কর্মপরিবেশ নেই। 

সোমবার (৬ জুন) বিকেলে বিএম ডিপোর দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, মিনারেল ওয়াটার, টিস্যু ও ফল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেলা প্রশাসকের সহায়তা কেন্দ্রে হস্তান্তরকালে এসব কথা বলেন ডা. শাহাদাত। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আহত ও দগ্ধদের বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও ড্যাবের পক্ষ থেকে প্রতি ওয়ার্ডে টিম গঠন করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেলে চিকিৎসাধীন গরিব-অসহায় হতাহতদের ওষুধ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সীতাকুণ্ডের এ বিস্ফোরণের ঘটনায় লোক দেখানো তদন্ত বাদ দিয়ে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা নিন। বি এম ডিপোর মালিক আওয়ামী লীগ নেতা বলে এ ঘটনা যেন ধামাচাপা পড়ে না যায়। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে যারা দায়ী, সবাইকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে সুচিকিৎসা, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও তাদের পুনর্বাসন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, মহানগর বিএনপি নেতা আরিফ মেহেদী, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা প্রমুখ। 

কেএম/আরএইচ