দুষ্কৃতিকারীরা এলডিপির নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে
অসৎ উদ্দেশে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী এলডিপির নাম ব্যবহার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ড. আওরঙ্গজেব বেলাল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়ে এলডিপির বর্তমান অবস্থা, সুনাম ও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার লক্ষ্যে দলটির নামে সামাজিক যোগাযোগ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বেলা ১১টায় এফডিসি সংলগ্ন দলটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বলার অপেক্ষা রাখে না যে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এলডিপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ কয়েকজন নেতাকর্মী দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ, বিশেষ করে আমেরিকায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রলুব্ধ করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এলডিপির প্যাডে প্রত্যয়নপত্র প্রদানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর দলের জাতীয় কাউন্সিলে অনুপস্থিত থেকে নির্বাচিত হতে পারেনি। পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এলডিপির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সেই আক্রোশে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহাদাত হোসেন সেলিম এলডিপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত কারণে সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল করিম আব্বাসী, মো. আব্দুল গনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। শাহাদাত হোসেন সেলিম নিজেকে মহাসচিব উল্লেখ করে বিভিন্ন অপরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। তারা সম্পূর্ণ অসৎ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একটি নিবন্ধিত ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও বেআইনি কাজ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ষড়যন্ত্রকারী শাহাদাত হোসেন সেলিম গং কর্তৃক এলডিপির নামে যেকোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পূর্ণ অবৈধ।
বিজ্ঞাপন
আওরঙ্গজেব বেলাল বলেন, সোমবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদ মোর্শেদ, ড. নেয়ামুল বশির, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, আইন সম্পাদক আবুল হাশেম প্রমুখ।
এএইচআর/এসএসএইচ