বিএনপির সমালোচনার করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, যারা দেশের মধ্যে থেকে দেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করে, পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করে তারা জাতীয় কুলাঙ্গার। এরাই স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৪ দল আয়োজিত আনন্দ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতেই কেন্দ্রীয় ১৪ দল এ আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তির মূল ভিত্তি এ দেশের জনগণ। আমাদের বিদেশে কোনো প্রভু নেই। আওয়ামী লীগ কোনো শক্তির কাছে জিম্মি নয়। জনগণ যাদের ক্ষমতার উৎস, তাদের অন্য কারো শক্তির কাছে জিম্মি হতে হয় না।

তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুন বাঙালি জাতির জন্য আরও একটি বিজয়। ১৯৭১ সালে বিজয় লাভ করার পর দেশবাসী যেভাবে আনন্দ করেছিল, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে আমরা একইভাবে আনন্দ করব। এটা আমাদের জন্য আরও একটি বিজয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাঙালি জাতি করো কাছে মাথা নত করতে পারে না।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, দেশে যখন শান্তি বিরাজ করছে, তখন দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা করছে বিএনপি। দিবা স্বপ্ন দেখে লাভ নেই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, বিশ্ব ব্যাংককে ফিরিয়ে দিয়ে দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা আজ প্রমাণ করেছেন, যে বাঙালি জাতি যা ইচ্ছে করে তা করতে পারে।

আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার প্রস্তুতি চলছে তখনি বিএনপির নেতারা বক্তব্য দিয়েছে ৭৫'র হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার। তাদের এই বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও হায়নাদের পরাজিত করে যে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই জাতির কাছে কোনো ষড়যন্ত্রকারীই সফল হবে না। করোনার মধ্যেও সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, কে কী বলল তা নিয়ে শেখ হাসিনা ভাবেন না। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয় তিনি বিশ্বনেতা। দেশে বিদেশে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগ কখনো বিদেশি শক্তির ওপর ভরে করে চলে না, আওয়ামী লীগের শক্তি হলো বাংলাদেশের জনগণ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম প্রমুখ। 

এইউএ/এসকেডি