‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় পাকিস্তান ও পশ্চিমা এজেন্ট ছিলেন জিয়াউর রহমান’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা।
তিনি আরও বলেন, একাত্তরে পরাজিত হয়ে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, পরবর্তীতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্যই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পাকিস্তান, পশ্চিমা শক্তি ও বাংলাদেশের এজেন্টরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই এজেন্টের প্রধান ছিলেন জিয়াউর রহমান।
বিজ্ঞাপন
আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি এ সভার আয়োজন করে।
• আরও পড়ুন : জনগণের বাড়িতে লোডশেডিং হলে মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে কেন নয়?
বিজ্ঞাপন
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়ভার খালেদা জিয়াকেই বহন করতে হবে। হামলার ঘটনায় বিএনপি যদি জড়িত না থাকে তাহলে কেন এত নাটক মিথ্যাচার করা হলো?
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া ইনডেমনিটি আইন করে খুনিদের রক্ষা করেছিল। খুনিরা যাতে জিয়ার নাম না বলে এজন্যই তাদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়া। জিয়া যদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকে, তাহলে তিনি খুনিদের বিচার কেন করেনি। তাদের বিচার করতে তার কী সমস্যা ছিল? সে উল্টো তাদের পুরস্কৃত করেছিল।
আওয়ামী লীগের কর্মীদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, এখনও এই পরাজিত শক্তি উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আন্দোলনের নামে নাশকতা জ্বালাও-পোড়াও করার চিন্তাভাবনা করছে। তাদের প্রতিহত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানসহ পলাতকদের অচিরেই দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে এবং এদের দল বিএনপির বিচার করতে হবে। এই খুনি ও সাম্প্রদায়িক দল বিএনপিকে কানাডার আদালত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছিল।
• আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর খুনি চক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালি জাতির কপালে কালিমা লেপন করেছে। এই পরাজিত শক্তি বিভিন্ন গুজব রটিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশ জাতিকে উপহার দেবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আফজাল হোসেন, অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, আ স ম শামসুল আরেফিন।
আইবি/এনএফ