সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করে তারা বিএনপির সহযোগী
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করে তারা বিএনপির সহযোগী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে জনগণ মনে করে। শেখ হাসিনার সরকার সব ধর্মের অনুসারীদের সহাবস্থান এবং নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি অশুভ মহল বরাবরের মতো দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করছে।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে ব্যর্থতা ঢাকতে নানা অপকৌশল আর ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের ঘটনায় তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। শেখ হাসিনা অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখেন। অতীতের ধারাবাহিকতায় এ ঘটনায় যুক্তদেরও শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের ঘটনায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে। এ ঘটনায় সরকার যখন দল-মত নির্বিশেষে অভিযুক্তদের শাস্তির কথা বলছে, তখন বিএনপি নেতারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি ধৈর্য ধারণেরও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে তোষণ আর পোষণ করাই বিএনপির রাজনীতি। বিভিন্ন পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করে সরকারের পতন ঘটানোর বিএনপির অলিক স্বপ্ন ভেস্তে গেছে। এর আগেও তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে উস্কানি দিয়ে ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনেও হালে পানি পায়নি।
তিনি বলেন, তথাকথিত আন্দোলনে বিন্দুমাত্র সাড়া না পেয়ে অতীতের মতো সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ভোঁতা অস্ত্র কাজে লাগানোর অপচেষ্টা করছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধতায় শেখ হাসিনার সরকার এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী বর্ণচোরা অপশক্তিকে আর কখনও মাথা তুলতে দেবে না।
আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে যায় - বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, কাল্পনিক অভিযোগ ও মিথ্যাচার চৈত্রের দাবদাহে আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। ২০০১ পরবর্তী ঘটনা তদন্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছিল। নির্যাতনে ৫ হাজার ৫ শ ৭১টি সুস্পষ্ট অভিযোগ পায় কমিশন, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়েও ভয়াবহ।
তিনি বলেন, বিচার তো দূরে থাক হামলা, সন্ত্রাস, লুটতরাজের অভিযোগ পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা করতে পারেনি। অথচ আজ তারা (বিএনপি) সম্প্রীতির কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। এ দেশের সনাতন ধর্মের অনুসারীদের আত্মার আত্মীয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। মাইনরিটি-বান্ধব শেখ হাসিনা সরকার সবসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে আছে।
এইউএ/এসএসএইচ/আরএইচ