সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাত্র অধিকারের ৩ দাবি
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে সৃষ্ট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সরকারের প্রতি তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদ।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি না মেনে নিলে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় শাহবাগ চত্বরে ফের বিক্ষোভ সমাবেশ করবে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর নগর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তিন দফা দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
দাবিগুলো হচ্ছে— আজকের ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে; আটকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন ও আমন্ত্রণ বাতিল করতে হবে।
ছাত্র অধিকারের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে জনগণকে নিয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আগামীকাল বিকেল ৩টায় শাহবাগ চত্বরে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ছাত্র অধিকার পরিষদের মোদিবিরোধী মিছিলে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে শুরু হয়। এতে সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে সৃষ্ট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- মতিঝিল বিভাগের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি-পেট্রোল), পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক, মতিঝিল থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও একজন কনস্টেবল।
বাকি ৩ পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), মতিঝিল জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবল।
এদিকে সংঘর্ষে ১০-১৫ জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এমএইচএন/এফআর