মোদির আগমন ছাত্র-জনতা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে : বামজোট
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সরকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনলেও ছাত্রসমাজ তার আগমন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে– এমন দাবি বামজোটের। দাঙ্গাবাজ, সাম্প্রদায়িক মোদির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের গদি রক্ষা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জোটের নেতারা।
মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাম রাজনৈতিক দলগুলো। ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিফ অনিকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, দেশে দমবন্ধ করা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কেউ কথা বলতে পারবে না। সমাবেশ করতে গেলে একদিকে ছাত্রলীগ আর অন্যদিকে পুলিশ। আজ বাংলাদেশে মোদিকে ডাকা হয়েছে। এর আগে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট এসেছেন, যারা কি-না নিজেদের দেশেই ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে।
বিজ্ঞাপন
ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যখন কোনো কর্মসূচি পালন করি, তখনই ছাত্রলীগ আমাদের পেছনে থাকে। পেছনে থেকে লাভ নেই। রাজনীতি করতে হলে সামনে আসেন। কলিজা ছিঁড়বেন, নাকি কলিজা ভুনা করে খাবেন তা সামনে থেকে করেন।
শাল্লার হামলা সরকারের পরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই শাল্লার হামলা এই সরকারের পরিকল্পিত।
বিজ্ঞাপন
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, এখন দেশে বিরোধী মত মানে দমন-পীড়ন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ মোদিকে বাংলাদেশে এনে সরকারি গাড়িতে ওঠানোর মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে, এই সরকারের কোনো মেরুদণ্ড নেই। এই অবৈধ সরকার মোদিকে এনে গদি রক্ষা করতে চায়। যতই চেষ্টা করেন মোদিতে গদি রক্ষা হবে না।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের অপর অংশের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার মোদিকে নিয়ে এসে একটি কালো অধ্যায় রচনা করেছে। অনির্বাচিত এই সরকার দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। ভারত আমাদের তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব দেয় নাই। সীমান্তে প্রতিদিন হত্যা হচ্ছে, কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলেছে ফেলানীর লাশ। নদীবন্দর, বন সবকিছুর উপর আক্রমণ করছে ভারত।
তিনি বলেন, মোদি আজ এসেছেন, এটা ঠিক। কিন্তু আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছি যে মোদির আগমন ছাত্র সমাজ পছন্দ করেনি, ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সমাবেশ শেষে পুলিশের বাধা পেরিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে পল্টন মোড় পর্যন্ত যায় বাম জোটের নেতৃবৃন্দরা।
জেইউ/এমএইচএস