আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা শুরু
সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
শোভাযাত্রার আগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিজ্ঞাপন
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। পার্লামেন্ট ভাঙবে না, তত্ত্বাবধায়কও হবে না।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র) কাছে দাবি করে কে? বিএনপি। কী পেয়েছেন? একটা হাঁসের ডিম, ঘোড়ার ডিম।
তিনি বলেন, ফখরুল আজকে কী বলেছেন? পদযাত্রা জয়যাত্রা, বিজয় যাত্রা। আসলে পদযাত্রা হলো পরাজয় যাত্রা আর পতনযাত্রা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দল আজকে সকালে আমাদের মিরপুরে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। হোন্ডা পুড়িয়ে দিয়েছে। এরইমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। আমরা রাজপথে সেগুলো মোকাবিলা করব।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সবক্ষেত্রে আমাদের যে অর্জন সে অর্জনকে পদযাত্রার নামে মিরপুরে যেভাবে ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে, তারা (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশকে আবার সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তাই সন্ত্রাসের পথে না হেঁটে নির্বাচনের পথে হাঁটুন। অন্যথায় আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপি-জামায়াত যে নৈরাজ্যের জন্ম দিতে চায় তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। যদি তারা আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাহলে আমরা কিন্তু বসে থাকব না। আমরা দাঁতভাঙা জবাব দেব। জবাব দিতে গিয়ে যদি কোনো ঘটনা ঘটে তার দায় বিএনপি-জামায়াতকে নিতে হবে। আজকে থেকে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হলো। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যত কর্মসূচি থাকবে আমরা পালন করব।
সমাবেশের পর শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা শুরু হয়। এটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশের কারণে ভোগান্তিতে মানুষ
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে আয়োজিত সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দুপুর ৩টার পর থেকেই আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এতে মাওলানা ভাসানী সড়কের শাহবাগ-মৎস্য ভবন এবং মৎস্য ভবন-শাহবাগ অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কে থাকা যানবাহনের যাত্রীরা।
এ সময় সমাবেশের মঞ্চ থেকে শাহবাগ ও মৎস্য ভবন মোড়ে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্যদের বারবার ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে থাকেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
মাওলানা ভাসানী সড়কে ভোগান্তিতে পড়া তারেক হোসেন নামে এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা শহরের মতো জায়গায় একটি কর্মদিবসে দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি জনগণের ভোগান্তি ছাড়া কিছু নয়। এখানে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলে তারা শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করছে। এ শান্তি শোভাযাত্রার অর্থ আমি বুঝি না।
এমএইচএন/এসকেডি