পল্টন নয় বায়তুল মোকাররমই জিতবে: সাদ্দাম হোসেন
‘পল্টন কখনও জিততে পারে না, বায়তুল মোকাররমই জিতবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
শান্তি সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিকে ‘ট্রেইলার’ আখ্যা দিয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আজ এখানে যে জমায়েত এটা ট্রেইলার। আগামী দিনে আরও বড় জমায়েত হবে। পিকচার আভি বাকি হ্যয় মেরে দোস্ত। আজকের ছাত্রসমাজ আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধ।’
বিজ্ঞাপন
‘রাজপথের হুংকার অনেকেই দিচ্ছেন। রাজপথে পরাজয়ের কথা তারা ভুলে গেছেন। সে (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) লুটপাটের যুবরাজ হতে পারে, রাজপথের রাজা কিন্তু ছাত্রলীগ।'
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘এমন নেতা কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, লুটপাটের যুবরাজ, এমন নেতা তিনি।’
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রসমাজ কালো হাত গুঁড়ো করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
‘গণতন্ত্রবিরোধী যে অপশক্তি, আগামী দিনে যারা অনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে হাত মেলানোর চিন্তা করছেন, তাদের সেই ষড়যন্ত্রের কালো হাত আমরা ভেঙে দেব।’
এর আগে বেলা ১টার পর বৃষ্টিতে ভিজেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। আর দুপুর ২টার পর সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন দলটির হেভিওয়েট নেতারা। তারা যখন বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছিলেন, তখন নেতাকর্মীরা আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠছিলেন। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সমাবেশস্থলে বিশাল মিছিল নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান। শামীম ওসমান সমাবেশস্থলে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সব নেতাকর্মী একযোগে স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় সমাবেশের মঞ্চে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন শুরু হয়। পাশাপাশি চলে কবিতা আবৃত্তিও। গানের তালে ও আবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে দলীয় স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রেখেছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ শান্তি সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ।
এমএসআই/এমজে