জনস্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চায় বাসদ
সরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে বেড ও আইসিইউ বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, ট্রলি, হুইল চেয়ার সরবরাহ ও জনবল বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে সমাবেশ করেছে বাসদ (মার্কসবাদী) ঢাকা নগর শাখা।
শনিবার (১০ এপ্রিল) পার্টির ঢাকা নগরের ইনচার্জ নাঈমা খালেদ মনিকার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সদস্য মাসুদ রানা। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। অথচ বাড়েনি জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার আয়োজন। সারাদেশে কোভিড ডেডিকেটেড বেডের সংখ্যা সরকারি বেসরকারি মিলে ৩ হাজার ৪৩৯টি।
একটি জাতীয় দৈনিকের বরাত দিয়ে বক্তারা বলেন, গত একমাসে ১ লাখ ৮ হাজার ১০৩ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এ হিসাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩১ দশমিক ৪ জনের বিপরীতে একটি বেড বরাদ্দ আছে। পূর্বের পরিসংখ্যান মতে সংক্রমিত রোগীর মধ্যে ২০ শতাংশের আইসিইউ সাপোর্ট লাগে। সে হিসাবে আমাদের দেশে আইসিইউ থাকা প্রয়োজন ২০ হাজার বেডের অধিক। অথচ আমরা দেখছি এ সংখ্যক কোভিড ডেডিকেটেড বেডও নেই।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, ঢাকায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড ৩২২টি ও ঢাকার বাইরে সারাদেশে ১১০টি। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে। বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড মানে একটা ব্যবসা। আইসিইউ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স ও সাপোর্টিং স্টাফদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাই করোনার প্রথম ঢেউয়ে মৃত্যুর মিছিলে অনেক ডাক্তার ও নার্সও আছেন। আমাদের প্রশ্ন, দেশের জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে সরকারের পরিকল্পনা কী?
এ বৈশ্বিক মহামারি দেশের চিকিৎসার ভঙ্গুর দশা প্রকাশিত করছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সরকারের বেসরকারিকরণের নীতিতে পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকশিত করার পরিকল্পনা নেই। বরাদ্দ অপ্রতুল থাকায় মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এই নীতির কারণে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি পুরোই অবহেলিত। করোনাকালে এটি নগ্নভাবে সামনে এসেছে।
তারা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। সরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে বেড ও আইসিইউ বেডের সংখ্যা ও জনবল বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, ট্রলি, হুইল চেয়ার সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি করছি।
আরএইচ