জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেছেন, বর্তমান সরকার বিগত ১৫ বছর যাবত জনগণের ম্যান্ডেড ছাড়া জোর-জবরদস্তি করে জগদ্দল পাথরের মতো জাতির ঘাড়ে চেপে বসে আছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। তাদের কূটচালে দেশের গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ অবাধে ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারছে না। কথা বলতে পারছে না। স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে সরকার।

শনিবার (১১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের এম আর করিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, বাস্তবিক অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার হলো জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণমূলক সরকার। যেই সরকার কোনো রকম ভয়ভীতি ছাড়া জনগণ দ্বারা গঠিত হয় এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে। এর কোনোটিই মেনে বর্তমান সরকার গঠিত হয়নি। তাই গণতন্ত্রের কথা তাদের মুখে মানায় না।

তিনি বলেন, নাগরিকদের ভোটাধিকার ও মিটিং-মিছিলসহ সকল সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নারী-শিশু, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা কেউই সরকারের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। দেশ আজ মহাসংকটে নিমজ্জিত। এ অবস্থা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, জাতিকে মহাসংকট থেকে মুক্ত এবং ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি ও আলেম-ওলামার মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আমরা অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশে যে চরম সংকট ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারই দায়ী। তাই সরকারের উচিত জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জাতিকে সংকট থেকে উদ্ধার করা। না হলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।

এ অবস্থায় জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ঘোষিত আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর টানা ৪৮ ঘণ্টা সড়ক, রেল ও নৌ পথ অবরোধের কর্মসূচিতে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

জেইউ/এসকেডি