যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় বক্তারা
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুবলীগ নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে
বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আর সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগ নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে তারা এসব কথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে আসার পর যুবলীগ ভ্যানগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, পঁচাত্তরের ঘাতকেরা, ২০০৪ সালের ঘাতকেরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র সৃষ্টি করছে যুবলীগের এই কাফেলা সেই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবে।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, মণি ভাই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা। মণি ভাই বেঁচে থাকলে হয়তো বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যেত। আজকে যারা গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে? তাদের কি গণতন্ত্র? মার্শাল ল গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে কি গণতন্ত্র কায়েম করেছিল জিয়াউর রহমান? যেখানে আইনের শাসন ছিল না।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে, রাজনৈতিক আদর্শকে শক্তিশালী করতে হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যারা মানবাধিকার বিশ্বাস করে না, যারা আইনের শাসন মানে না তারা কত ভয়ংকর তা আমরা ২৮ তারিখে দেখেছি।
তিনি যুবলীগের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সতর্ক হোন, এখনও ষড়যন্ত্র চলছে, একেক সময় একেক অবরোধ দেয়। এখনও আগের অবরোধ তোলেনি। যুবলীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তাই সব ষড়যন্ত্রকারীকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবলীগ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র দূর করা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে যুবসমাজকে মুক্ত করানোর লক্ষ্যে যুবসমাজকে সঠিক ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সংগঠনকে সৃষ্টি করার জন্য শেখ ফজলুল হক মণিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিনি যুবলীগের উদ্দেশে বলেন, লড়াইকে আরও শাণিত করতে হবে। লড়াইকে আরও তীব্র করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পাহারাদার। আমরা শান্তির প্রতিষ্ঠান, আমরা শান্তির পাহারাদার। আমরা এদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার পাহারাদার।
সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজকে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণ হচ্ছে, যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধন হচ্ছে, যখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের স্বপ্ন যুবসমাজ দেখছে, যখন জঙ্গিবাদ প্রায় নির্মূল হয়ে এই অঞ্চল নিরাপত্তার দুর্গ স্থাপন হচ্ছে, যখন সামাজিক নিরাপত্তার বলয় স্থাপন হয়ে নারীর নিরাপত্তা অর্জন হচ্ছে এবং যখন মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে এই প্রথম বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করছে ঠিক তখন বিএনপি ও স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শত্রু, এই দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে সন্ত্রাসী চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে। ওরা যখন এদেশের সাধারণ নিরীহ মানুষের জান-মালের ক্ষতি সাধন করে আমরা তখন বসে থাকতে পারি না। ওরা যখন আমাদের সেই পুলিশ ভাইদের হত্যা করে যারা জঙ্গিবাদ নির্মূলে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে, আমরা তখন ঘরে বসে থাকতে পারি না আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে। বিএনপি-জামাত চায় নির্বাচন বানচাল করতে, বিএনপি চায় অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে। অপরদিকে, আমাদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
এর আগে সকাল ৮টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যুবলীগ।
এমএসআই/এমএ