চাকরি জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সরকারে পলিসি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা-১১ আসনের উন্নয়নে নৌকার কাণ্ডারি হতে চান সাবেক সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম। সাবেক সরকারি এ কর্মকর্তা চাকরি জীবনে বারবারই দক্ষতা ও সততার পরিচয় দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব থাকাকালীন সময়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সচিবের পুরস্কার পেয়েছিলেন।

সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা-১১ আসনের জনসাধারণ এলাকার উন্নয়নে আমাকে চাচ্ছে। জনগণের দাবি, আমি যেন এলাকার উন্নয়ন ও সর্বসাধারণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে সরকারের পলিসি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে কাজ করতে পারব। এছাড়া, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। যেটাকে কাজে লাগিয়ে আমি জনগণের সেবা করতে চাই।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২০টি ঢাকায়। এর মধ্যে ঢাকা-১১ জাতীয় সংসদের ১৮৪নং আসন। রাজধানীর বাড্ডা থানা, ভাটারা, বেরাইদ ও সাতারকুল এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১, ২২ ও ২৩নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসন। আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যারা এমপি হয়েছেন তাদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা কম। আমি আমার দীর্ঘ ৪০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমার নিজ এলাকা ঢাকা-১১ আসনের উন্নয়ন করতে চাই। এছাড়া চাকরির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক বিজ্ঞান, কারিগরি, গুণগত শিক্ষা, বেকারত্ব দূরীকরণ মাদক নির্মূল, পরিবেশের উন্নয়ন, রাস্তা, ড্রেন নির্মাণের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গঠনেও অবদান রাখতে চাই।

মফিজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। এই যুদ্ধে আমাদের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুসহ ৩০ লাখ শহীদের ঋণ কখনোই শোধ করা যাবে না। তবে সততার সঙ্গে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখতে পারলে কিছুটা হলেও মানসিক স্বস্তি পাওয়া যাবে। মনোনয়ন পেলে আমার সংসদীয় আসনের জনগণের জন্য কাজ করে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব।

কে এই মফিজুল ইসলাম

মফিজুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারী। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে কিশোর অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ এবং তার স্নেহ ও স্পর্শ পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেন মফিজুল ইসলাম। এ কারণে বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পার্টির নেতাদের দ্বারা নির্যাতিত ও অপমানিত হওয়াসহ পদবঞ্চিত হন তিনি। তার পিতা ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্ভীক সৈনিক।

তিনি সরকারি চাকরিতে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদ থেকে অবসরে যান এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী তাকে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিয়োগ দেন।

আইএমইডি সচিব হিসেবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল চর্চায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিবদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ২০১৭-১৮ সালে দুটি পুরস্কার গ্রহণ করেন মফিজুল ইসলাম। তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গঠনে আজীবন আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এসআর