৭ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কের দিন হতে যাচ্ছে
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল হক বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি হিসেবে সরকার দেশব্যাপী বিভিন্ন বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রেখে ৭ তারিখে একটা ভোট ভোট খেলার আয়োজন করছে। সরকার ১৪ ও ১৮ তে যেভাবে একটা কলঙ্ক তৈরি করেছে সে অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কের দিন হিসেবে চিহ্নিত হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সাইফুল হক বলেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ পরিষ্কার করে বলেছে, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে একটা ভয়াবহ এবং অচল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো লিখেছে, আগামী ৭ তারিখে নির্বাচন নির্বাচন খেলার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণকে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, গত দুটো জাতীয় নির্বাচনে কোটি কোটি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা (সরকার) দেশে নতুন যে জমিদারি ব্যবস্থা কায়েম করেছে এর কি কোনো ক্ষমা আছে? লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে আত্মসাৎ করে সম্ভাবনাময় দেশকে তারা (সরকার) গরিব দেশে পরিণত করেছে, এর কি কোনো ক্ষমা আছে? যদি আপনি (শেখ হাসিনা) আপনার শাসনের পাপ কমাতে চান তাহলে টেলিভিশনে এসে ৭ তারিখের নির্বাচনকে স্থগিত ঘোষণা দেন। হয়তো এর মাধ্যমে আপনার (শেখ হাসিনা) পাপ কিছুটা কমতে পারে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) সংসদ ভেঙে দিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচনকালীন কীভাবে একটা অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার হতে পারে সেটির একটি কার্যকর বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান নিজুর পরিচালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় কারী এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
ওএফএ/এমএ