প্রকৃত অসহায়দের খাবার ও নগদ সহায়তার দাবি
করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ সহায়তা পৌঁছে দিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল। এতে তারা বলেন, প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী সরকার এক কোটি ২৫ লাখ শ্রমজীবী মানুষকে খাদ্য সহায়তা এবং ৩৬ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বরাদ্দ করা সহায়তা যেন লোক দেখানো না হয়, করোনায় কর্মহীন হয়ে অভাবগ্রস্ত প্রকৃত শ্রমজীবী মানুষের হাতে যেন সহায়তা পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, সরকার ৫০ লাখ শ্রমজীবী মানুষকে নগদ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নামে দলীয় প্রতিনিধিদের দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি আর সংশ্লিষ্ট আমলাদের দায়িত্বহীনতার কারণে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাদের প্রস্তুত করা তালিকায় কয়েকশ নামের পাশে একই মোবাইল নম্বর দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দৈনিক আয়ের ওপর টিকে থাকা গণপরিবহন চালক-শ্রমিক, পর্যটন শ্রমিক, রাইডার, হালকা যানবাহন চালক, নির্মাণশ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালক, হকার, পাদুকা শ্রমিক, দিনমজুর, দোকান-কর্মচারী, গৃহশ্রমিক যারা লকডাউনে উপার্জনহীন হয়ে চরম অসহায়ত্বের মধ্যে জীবনযাপন করেছেন তাদের হাতে সরকারের সহায়তা পৌঁছায়নি। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নগুলো সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরি হারানো, অভাবগ্রস্ত শ্রমিকদের তালিকা দাখিল করলেও সেই তালিকার শ্রমিকদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি।
তারা আরও বলেন, গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ বণ্টনে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে, তা প্রকৃত অভাবগ্রস্ত শ্রমজীবী মানুষদের কাছে আবারও পৌঁছাবে না। এতে সরকার আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ করা সহায়তার পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। সেই সহায়তাও যদি দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির কারণে প্রকৃত অভাবগ্রস্ত মানুষের হাতে না পৌঁছায়, তা শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বঞ্চনার যন্ত্রণা তৈরি করবে। এবার কিন্তু ভয় দেখিয়ে বঞ্চনা আর সেই ক্ষোভকে দমন করতে পারবেন না।
বিজ্ঞাপন
এমএইচএন/এফআর/জেএস